সিলেটে যুবদলের কমিটি বাতিলের মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ!
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:৫০:১৬,অপরাহ্ন ০৯ নভেম্বর ২০১৯ | সংবাদটি ৫৭৮ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: সিলেট জেলা ও মহানগর যুবদলের সদ্য ঘোষিত কমিটি বাতিলের দাবিতে মিছিল করেছে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠন। মিছিলে কয়েক দফা পলিশী বাধাঁ ও নেতাকর্মীদের উপর লাঠিচার্জের অভিযোগ করেছেন দলীয় নেতারা।
শনিবার (৯ নভেম্বর) বেলা ২টায় নগরীর মিরাবাজার থেকে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে বিএনপি নেতৃবৃন্দরা জানান, খালেদা জিয়ার মুক্তি ও যুবদলের কমিটি বাতিলের দাবিতে মিছিল বের করার জন্য জড়ো হতে থাকেন। এসময় পুলিশ তাদেরকে বাধা দেয়। বাধা উপেক্ষা করে মিছিলটি নাইওরপুল আসলে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। বিএনপি নেতাদের দাবি এসময় তাদের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন, রিনুক আহমদ, মুহিবুর রহমান মুহিন, নুরুল আমিন, রনি আহমদ, সেলিম আহমদ, ইমন আহমদ, মুর্শেদ আলম, জুনেদ আহমদ, সাবের আহমদ।
লাঠিচার্জের পর নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েন। এর মধ্যে নেতাকর্মীদের একটি গ্রুপ পুলিশী বাধা ও লাঠিচার্জ উপেক্ষা করে নয়াসড়ক পয়েন্টে গিয়ে সমাবেশ করে।
সিলেট জেলা যুবদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইকবাল বাহার চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আজমল হোসেন রায়হানের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তারা অবিলম্বে যুবদলের বিতর্কিত কমিটি বাতিলের দাবি জানিয়ে বলেন- সরকারের নীল নকশা বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় বিএনপি’র ভেতরে ঘাপটি মেরে থাকা আওয়ামী এজেন্টদের ইশারায় পুলিশ শান্তিপূর্ণ মিছিলে লাঠিচার্জ করেছে। সিলেট বিএনপি এখন দালালদের খপ্পরে। বিভিন্ন পকেট কমিটি গঠনের মাধ্যমে সিলেট বিএনপি পরিবারকে আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এতে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন, তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন এবং গণতন্ত্র পূণরূদ্ধারের সংগ্রাম বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। সকল ষড়যন্ত্রের নাগপাশ চিহ্ন করে সিলেট বিএনপি পরিবারকে অপশক্তির হাত থেকে রক্ষা করতে হবে।
বক্তারা বলেন- অবিলম্বে যুবদলের কমিটি বাতিল করতে হবে। অন্যথায়- সিলেটের হাজার হাজার নেতাকর্মী একযোগে পদত্যাগ করতে বাধ্য হবে।
মিছিল ও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- জেলা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাদিকুর রহমান সাদিক, বিএনপি নেতা সৈয়দ জয়নুল হক, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি মাহবুবুল হক চৌধুরী, জেলা বিএনপির সাবেক ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শাকিল মুর্শেদ, জেলা বিএনপির সাবেক তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মতিউল বারী খুর্শেদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মওদুদুল হক মওদুদ, মহানগর বিএনপি নেতা আব্দুস সামাদ, যুবদল নেতা কুহিনুর আহমদ, যুবদল নেতা আব্দুশ শুকুর, আলা উদ্দিন আলাই, দিলোয়ার হোসেন দিলু, মন্তাজ হোসেন মুন্না, মহানগর বিএনপির সদস্য শফিকুর রহমান টুটুল, জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য কামরুজ্জামান দীপু, বখতিয়ার আহমদ ইমরান, সেচ্ছাসেবক দল নেতা শাহিদুল ইসলাম কাদির, আবুল খায়ের, রিনুক আহমদ, মিফতাউল কবীর মিফতা, জয় দেব চক্রবর্তী জয়ন্ত, রুজেল আহমদ চৌধুরী, ফয়জুল ইসলাম পীর, জয়নাল আবেদীন, শাকিল আহমদ, নুরুল হুদা দিপু, আলতাফ হোসেন বিলাল, খালেদুর রশীদ ঝলক, আজিজুল হোসেন আজিজ, তছির আলী, আব্দুল হান্নান, রাহাত রখত রাক্কু, হাজী মামুন আল রশিদ হেলাল, ইকবাল কামাল, মুহিবুর রহমান মুহিত, আবু আহমদ আনসারী, আব্দুর রউফ, শফি আহমদ খান, মাহবুব আলম, আলী আব্বাস, মুহিন আহমদ, সুহেল রানা, দিলদার হোসেন শামীম, আবুল কালাম, সিদ্দেক আলী, মিজানুর রহমান ডিপজল, নাজিম উদ্দিন, নাসির উদ্দিন, দেওয়ান নিজাম খান, আব্দুল খালিক মিল্টন, টিটন মল্লিক, একরাম হোসেন, ইন্তেজার আলী, জাসাস নেতা রায়হান আহমদ পাবন, ছাত্রদল নেতা বদরুল আজাদ রানা, লাহিন চৌধুরী, ইমরানুল হক জাসিম, দেলোয়ার হোসাইন, আবু ইয়ামিন চৌধুরী, জিয়াউর রহমান, আফজল হোসেন মুন্না, আনোয়ার হোসেন খান, মনির মুন্সি, মুহাইমিনুল ইসলাম সুহেল, সাহেদ আহমদ, নুরুল আলম বাবলু, প্রিন্স আহমদ, খালেদ আহমদ, রুমেল আহমদ, নুরুল আমিন, আব্দুল মজিদ, আফজাল হোসেন, সেলিম মিয়া, সাকিল আহমদ খান, আহমদ শাহীন, রায়হানুল হক, রুশন খান, জাহেদ আহমদ, সেলিম আহমদ, আলী আহমদ, মন্টু কুমার নাথ, বাবুল মিয়া, আঙ্গুর আলম, চমক আলী, জাহাঙ্গীর আহমদ চৌধুরী, দুলাল আহমদ, ইসমাইল হোসেন শিপার, মিজান আহমদ প্রমুখ।