‘ক্ষমতাচ্যুত হবে আ’লীগ, পাপের ভারে ডুববে নৌকা’
প্রকাশিত হয়েছে : ২:১১:৫০,অপরাহ্ন ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | সংবাদটি ৩১৯ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: শিগগিরই ক্ষমতাচ্যুত হবে আওয়ামী লীগ। পাপের ভারে ডুবে যাবে নৌকা। অতীতেও অনেকের ক্ষেত্রে তাই হয়েছে। সুতরাং সময়ক্ষেপন করে লাভ হবে না বলে মন্তব্য করেন এলডিপির সভাপতি ও জাতীয় মুক্তিমঞ্চের সমন্বয়কারী ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম।
সম্প্রতি গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ সব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমরা এদেশ স্বাধীন করেছি। সুতরাং মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেকের তাড়নায়, চুপ করে বসে থাকতে পারি না। এদেশের জনগণের প্রতি আমাদের দায়িত্ব রয়েছে এবং সে দায়িত্ব পালনে আমরা বদ্ধপরিকর। যত দ্রুত সম্ভব সংসদ ভেঙে দিয়ে পদত্যাগ করুন। তত্ত্ববধায়ক সরকারের অধীনে পুনর্নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
গণমাধ্যমে পাঠানো ওই বিবৃতিতে অলি আহমদ বলেন, এখনও পর্যন্ত যারা গ্রেফতার হয়েছে তারা সবাই সরকারি দলের নেতা। সুতরাং অন্যের উপর দোষ চাপিয়ে পার পাওয়া যাবে না।
ক্যাসিনো অভিযানে তিনি সরকারের সদিচ্ছার অভাব রয়েছে মন্তব্য করে বলেন, সরকারের সদিচ্ছা থাকলে বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন ক্লাবে অভিযান করতেন না। সরকারের উচিত ছিল পরিকল্পিতভাবে সমগ্র দেশে একই দিন এবং একই সময়ে অভিযান পরিচালনা করা। তাহলে রাষ্ট্রদ্রোহীরা গাঢাকা দিতে পারত না। এর অর্থই হল সরকার তাদের নেতাকর্মীদের পালানোর সুযোগ করে দিয়েছে। মালামাল ও টাকা-পয়সা সরানোর জন্য সময় দিয়েছে।
অলি আহমদ বলেন, এখনও পর্যন্ত খালেদ, শামীম, লোকমানদের দোসরেরা/পার্টনারেরা কেন গ্রেফতার হল না। যে সব মন্ত্রী, এমপি এবং নেতাদের নাম খালেদ ও শামীম প্রকাশ করেছে তাদের কেন জেলে নেয়া হচ্ছে না। এ ছাড়াও যে সব এমপি স্বনামে-বেনামে ঠিকাদারী করছে তাদের কেন খুঁজে বের করা হচ্ছে না। এর দায়িত্ব কার। ব্যবসায়ীদের ব্যবসা করতে দিন। রাজনীতিকে কলুষিত করতে দেয়া যাবে না। দুদকের ভূমিকা আরও স্বচ্ছ হওয়া উচিত ছিল। কীভাবে অনেক মন্ত্রী, এমপি এবং তাদের স্ত্রী রাতারাতি ব্যাংক, বীমা, বিশ্ববিদ্যালয় ও বড় বড় হোটেলের মালিক হল তা খুঁজে বের করা উচিত। আমরা মনে করি, সন্দেহভাজন এ সব মন্ত্রী ও এমপির স্ত্রীদের আয়কর রিটার্নের ফাইলগুলোও পরীক্ষা করা উচিত।
বিবৃতিতে অলি বলেন, অনেক অবৈধ মন্ত্রী বলছেন- জুয়া ও মাদক জিয়াউর রহমান ও তারেক রহমানের সময় থেকে শুরু হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে বিগত ১১ বছর এগুলো বন্ধ করার জন্য আপনারা কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। সরকারকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার জন্য অনেকগুলো আইন বাতিল করা হয়েছে । নতুন নতুন আইন পাস করা হয়েছে। অথচ জুয়া ও মাদক বন্ধ করার জন্য কোনো আইন পাস করা হয়নি। শুধু অন্যকে দোষারোপ করে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে চায়।