কেনাকাটায়ও ছাড় পাচ্ছেন আলোচিত ‘মিন্নি’!
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:২৩:২৭,অপরাহ্ন ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | সংবাদটি ৮৬৮ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: দেশজুড়ে আলোচিত রিফাত শরীফ হ’ত্যা মামলার সাত নম্বর আসামি ও তার স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি এখন ঢাকায়। চিকিৎসা ও আইনি সহায়তার কাজে রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) তিনি ঢাকা আসেন বলে বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর জানান। এর মধ্যে আইনজীবী জেড আই খানের সঙ্গে দেখাও করেন মিন্নি ও তার বাবা।
এরপর মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) তারা যান রাজধানীর গুলিস্তানে কেনাকাটা করতে। সেখানে মিন্নিকে ঘিরে ভিড় জমে। দোকানিরাও তাকে বিশেষ ছাড় দেন বলে জানা গেছে।
উন্নতর চিকিৎসার্থে গত ২২ সেপ্টেম্বর মিন্নিকে ঢাকায় নিয়ে আসেন তার বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর। প্রায় রাতে ঘুমের মধ্যে চিৎকার দিয়ে কেঁদে উঠতেন তিনি। সে চিকিৎসার জন্যই তার ঢাকায় আসা।
২১ সেপ্টেম্বর বিকাল ৪টায় বরগুনা লঞ্চঘাট থেকে এমভি শাহরুখ লঞ্চে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন মিন্নি। তখন থেকে ঢাকায় অবস্থান করছেন তিনি। মাথার ছাতা হয়ে সার্বক্ষণিক সঙ্গে থাকছেন বাবা কিশোর।
ইতিমধ্যে সামাজিক যোগযোগমাধ্যমসহ গণমাধ্যমে ফের আলোচিত হচ্ছেন মিন্নি। ঢাকায় তিনি কি করছেন, তার মানসিক অবস্থা এখন কেমন যে বিষয়ে বেশ কৌতূহলী দেশবাসী।
জানা গেছে, ঢাকায় যেখানেই যাচ্ছেন মিন্নি সেখানেই ভিড় জমে যায়। মিন্নির ছবি তুলতে থাকে জনতা।
সম্প্রতি মিন্নির বেশ কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যেখানে সাদা রংয়ের সেলোয়ার কামিজ পরা হাস্যজ্জ্বল মিন্নিকে দেখা গেছে।
জানা গেছে, সম্প্রতি ঢাকায় নিউমার্কেটে কেনাকাটা করতে গিয়েছিলেন মিন্নি। সেখানে তাকে দেখতে উৎসুক জনতার ভিড় জমে যায়।
বিভিন্ন দোকানে ছড়িয়ে পড়ে বরগুনার আলোচিত রিফাত হত্যা মামলার আসামি আয়সা সিদ্দিকা মিন্নি এসেছেন।
মিন্নি দেখতে অনেকেই দোকান ফেলে চলে আসেন। ছবি তোলেন কেউ কেউ। আর সেসব ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেন তারা।
জানা গেছে, মঙ্গলবার রাজধানীর একটি মার্কেটে গিয়েছিলেন মিন্নি। এসময় নিজের জন্য জামা-কাপড় কেনেন মিন্নি। দোকানিরাও তাকে বিশেষ ছাড় দেন। এসময় বেশ হাসিখুশি দেখা গেছে তাকে।
মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর বলেন, আগে সব মানুষ আমার মেয়ের দিকে অন্যরকম দৃষ্টিতে তাকাতো। কিন্তু এখন দেখলে মানুষ উৎফুল্ল হয়, তাকে সম্মান জানায়।
মিন্নির জামিন হওয়ার পর আর রিফাতকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সেই ভিডিও প্রকাশের পর পুরো চিত্র পাল্টে গেছে বলে জানান মিন্নির বাবা।
তিনি বলেন, মেয়েকে জামা-কাপড় কিনে দিলাম। দোকানদাররা খাওয়াতে চেয়েছে। দামে ডিসকাউন্ট দিয়েছে। আমার মেয়েকে একনজর দেখতে পুরো মার্কেটের মানুষ একত্র হয়ে গিয়েছিল সেদিন।
তিনি আরও বলেন, মানুষ শুধু জড়োই হয় না তার ছবিও তুলে। ছবি তোলার জন্য ভিড় সামলানো যায় না। আমি মনে করি এটা মানুষের সম্মান। এই সম্মানের মর্যাদা যেন আমার মেয়ে রাখতে পারে সেজন্য আমি দোয়াপ্রার্থী।