রাব্বানীর ‘জিএস’ পদ কি থাকবে বহাল!
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:০৮:২১,অপরাহ্ন ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | সংবাদটি ৫১৮ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: চাঁদাবাজী মাদকসহ নানা অভিযোগে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির শীর্ষ পদ হারিয়েছেন গোলাম রাব্বানী। এই অভিযোগে রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনও পদ হারিয়েছেন। শোভন ছিলেন ছাত্রলীগের সভাপতি ও গোলাম রাব্বানী ছিলেন সাধারণ সম্পাদক।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাদের জায়গায় ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করা হয়েছে আল নাহিয়ান খান জয়কে। অন্যদিকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন লেখক ভট্টাচার্য।
দুর্নীতির অভিযোগে ছাত্রলীগ থেকে পদচ্যুত হওয়া রাব্বানী ডাকসুর জিএস পদে থাকতে পারেন কিনা সেই প্রশ্ন এখন বড় হয়ে উঠেছে।
এবিষয়ে ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, আসলে যেহেতু তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ উঠেছে, অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার ছাত্রলীগের পদও তিনি হারিয়েছে, সেহেতু আমি মনে করি নৈতিকভাবে তার আর এ পদে থাকার অধিকার নেই।
নুর আরো বলেন, আশা করছি রাব্বানী পদত্যাগ করেন। তবে সে পদত্যাগ না করলে ডাকসু সভাপতি হিসেবে ঢাবি ভিসির উচিৎ তাকে পদচ্যুত করার উদ্যোগ নেওয়া।
নুর বলেন, ছাত্রলীগের মতো ঐতিহ্যবাহী একটি সংগঠন থেকে যাকে পদচ্যুত করা হয়েছে তার ডাকসু জিএস থাকা কোনোভাবেই উচিৎ। এটির সঙ্গে ডাকসুর মান সম্মানও জড়িত।
দুপুর পর্যন্ত ঘুমানো, আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের অগ্রাহ্য করা, মাদক সেবন, টেন্ডার ও তদবির বাণিজ্য,বিরোধী মতাদর্শীদের অর্থের বিনিময়ে সংগঠনে অনুপ্রবেশ ঘটানো, স্বেচ্ছাচারিতা, ত্যাগী নেতাদের অবমূল্যায়নসহ অসংখ্য অভিযোগে ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত শনিবার দলের সভাপতিমণ্ডলীর সভায় তিনি কমিটির র্শীষ দুই পদে নতুন নেতৃত্ব আনার আভাস দেন। এরপরই একের পর এক দুর্নীতির তথ্য বেরিয়ে আসে শোভন-রাব্বানীর বিরুদ্ধে।
উল্লেখ্য গত ১১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ডাকসুর জিএস পদে নির্বাচিত হন গোলাম রাব্বানি।