মদে কর কমানোর প্রস্তাব সংসদীয় কমিটির!
প্রকাশিত হয়েছে : ৪:১৭:১৯,অপরাহ্ন ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | সংবাদটি ৬৭৬ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: দেশের প্রতিটি পাঁচতারা হোটেল ও নাইটক্লাবে বিয়ার ও হার্ড ড্রিংকসের মূল্য আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে কর হ্রাসের ব্যপারে সংসদীয় কমিটির পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে এ ব্যপারে আলোচনার জন্যও বলেছেন কমিটির সভাপতি।
সম্প্রতি সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ষষ্ঠ বৈঠকে এ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকের কার্যবিবরণী থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় বাংলাদেশে মদের দাম অনেক বেশি হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে কমিটিতে আলোচনা হয়। তবে অ্যালকোহলের ওপর কর হ্রাসের আগে সামাজিক প্রেক্ষাপটকে বিবেচনায় নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন এক সদস্য।
কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, কাজী ফিরোজ রশীদ, তানভীর ইমাম, আশেক উল্লাহ রফিক এবং সৈয়দা রুবিনা আক্তার অংশ নেন।
বৈঠকে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতেও অসংখ্য ছাতা ও বেঞ্চ বিছানো আছে, যা পর্যটকদের ভাড়া করে ব্যবহার করতে হয়। এগুলো বিচ কমিটি নিয়ন্ত্রণ করে বিধায় তাদের দ্বারা দেশি-বিদেশি পর্যটকরা নানা ধরনের হয়রানির শিকার হচ্ছেন। পর্যটকরা যাতে হয়রানি মুক্ত ও বিনা ভাড়ায় ছাতা ও বেঞ্চ ব্যবহার করতে পারে সে জন্য সমুদ্র সৈকতকে সিডিএ-এর অধীনে নিয়ে কক্সবাজারে অবস্থিত পাঁচতারা ও চারতালা হোটেলগুলোকে এ দায়িত্ব প্রদানের সুপারিশ করেন তিনি।
একই সঙ্গে তিনি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এলাকাসহ দেশের প্রতিটি পাঁচতারা হোটেল ও নাইটক্লাবে বিয়ার ও হার্ড ড্রিংকসের মূল্য আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার সুপারিশ করেন।
এরপর কমিটির সভাপতি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এলাকাসহ দেশের পাঁচতারা হোটেল ও নাইট ক্লাবসমূহে বিয়ার ও হার্ড ড্রিংকসের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার ব্যাপারে অর্থমন্ত্রীর সাথে আলোচনার পক্ষে মতামত ব্যক্ত করেন। এ সময় কমিটির আরেক সদস্য তানভীর ইমাম পাঁচতারা, চারতারা ও তিনতারা হোটেলসমূহে অ্যালকোহলের ওপর কর হ্রাস করার পূর্বে সামাজিক প্রেক্ষাপটকে বিবেচনায় নেয়ার অনুরোধ জানান।
মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘তারকা হোটেলে হার্ড ড্রিংকসের ওপর যে করারোপ করা হয়েছে, তা অত্যধিক। যে হারে ট্যাক্স নেওয়া হয় এবং যে হারে বিক্রি করা হয়, তাতে বিদেশিরা যারা আসেন, তারা খুশি থাকেন না, তারা এটা অপছন্দ করেন।’
মোশারফ বলেন, ‘দেশে এখন অনুমোদিত বারের সংখ্যা ৯৬টি। কিন্তু গুলশান বনানীর রেস্তোরাঁগুলোতে যেকোনো ব্র্যান্ডের পানীয় পাওয়া যায়। কিন্তু তারা কর দেয় না। তিনি এ সময় যেসব অবৈধ বার আছে, নির্দিষ্ট ফি নিয়ে এসব বার অনুমোদন দেওয়ারও আহ্বান জানান।
প্রসঙ্গত, এর আগে বিগত অর্থবছরে বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে মদের (হার্ড ড্রিংকস) ওপর কর কমানোর প্রস্তাব করেছিলেন তৎকালিন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন। ১৮ জুন, সোমবার জাতীয় সংসদে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে মোশাররফ হোসেন এ প্রস্তাব করেন।