বিএনপির সাথে সম্পর্ক নষ্টের মূলে গ্রেনেড হামলা: কাদের
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:৩৬:২৩,অপরাহ্ন ২১ আগস্ট ২০১৯ | সংবাদটি ৪৩১ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: বিএনপির সাথে আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক কর্ম সম্পর্কের মূলে ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা এমনটা জানিয়েছেন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এ হামলার কারণে বিএনপির সঙ্গে রাজনৈতিক কর্ম সম্পর্ক চিরদিনের মত বিনষ্ট হয়ে গেছে।
বুধবার (২১ আগস্ট) সকালে গ্রেনেড হামলার ১৫ বছর পূর্তিতে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের বেদীতে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক। এ সময় গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
কাদের বলেন, ‘যারা বলেন বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে কর্মসম্পর্কের যে অভাব রয়েছে, যে ঘাটতি রয়েছে, এটার জন্য দায়ী বিএনপি। তারা ২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে যে দেয়াল তুলেছে, সে দেয়াল এভয়েট করা এড়িয়ে যাওয়া অথবা ভুলে যাওয়া আমাদের কোনোটাই সম্ভব নয়।’
‘আমরা মনে করি, বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে কর্ম সম্পর্ক থাকা দরকার, সরকারি দল-বিরোধী দলের মধ্যে, সেই কর্মসম্পর্কের ভীত এই দুটি ঘটনার মধ্য দিয়ে চিরদিনের মত বিনষ্ট হয়ে গেছে।’
২০০৪ সালে বিএনপি শাসনামলে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে তারেক রহমানের নাম তখন থেকেই সামনে আনছে বর্তমান ক্ষমতাসীনরা। গত বছরের ১০ অক্টোবরের রায়ে আগে তারা বিএনপি নেতার ফাঁসির কামনা করেছিলেন। তবে খালেদা জিয়ার বড় ছেলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। আর এতে নাখোশ আওয়ামী লীগ।
রায়ে তারেক রহমানের ফাঁসি হওয়া উচিত ছিল বলেন মনে করেন ওবায়দুল কাদের। আর এ জন্য উচ্চ আদালতে যাবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
‘উচ্চ আদালতে যাওয়ার সুযোগ আমাদের আছে। এই হত্যাকাণ্ড যারা সংগঠিত করেছে, সেই হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নানের বক্তব্যে, জবানবন্দিতে আছে, তারেক রহমানের নির্দেশনা মেনেই তারা সেদিন অপারেশন পরিচালনা করেছে। কাজেই এই হত্যাকাণ্ডের বিচার হতে হলে, এই হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ডের বিচার হওয়া উচিত।’
১৫ আগস্টের মত ২১ অগাস্টের হত্যার বিচারও হবে বলে আশাবাদী কাদের। বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডের বিচারিক আদালতে বিচার হয়েছে। পেপারবুক রেডি হচ্ছে, এর পর ডেথ রেফারেন্স শুনানি শুরু হবে।’
‘এখন প্রক্রিয়াগত ব্যাপার, যত দ্রুত সম্ভব ইতিহাসের এই কলঙ্কজনক রক্তাক্ত ঘটনা, যেখানে ২৪টি তাজা প্রাণ হারিয়ে গেছে, নেত্রী বেগম আইভি রহমানসহ। যেখানে প্রাইম টার্গেট ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আল্লার অশেষ রহমতে তিনি বেঁচে গেছেন। তিনি যখন বেঁচে আছেন, ১৫ আগস্টের যেমন বিচার হয়েছে তেমনি ২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের বিচার এই বাংলার মাটিতে হবে।’