জীবন দিয়ে হলেও এরশাদের ‘লাশ’ রংপুরে রাখতে চায় নেতাকর্মী!
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:৩৪:১৩,অপরাহ্ন ১৫ জুলাই ২০১৯ | সংবাদটি ৭৭৬ বার পঠিত
আ্মাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: রংপুর জাতীয় পার্টি ঘোষণা করেছে এরশাদকে রংপুরেই দাফন করতে হবে। রংপুরে লাশ নিয়ে আসার পর তা আর ঢাকায় ফিরতে দেওয়া হবে না বলেও জানিয়েছেন সেখানকার নেতাকর্মীরা। এ ব্যাপারে রংপুরের জাতীয় পার্টি আল্টিমেটামও ঘোষণা করেছে।
এদিকে, রওশন এরশাদ এবং জিএম কাদের বলছেন, যেহেতু এরশাদ সেনাপ্রধান ছিলেন, তাই তাকে সামরিক কবরস্থানেই দাফন করা হবে।
এনিয়ে এরশাদের দাফনের আগেই জাতীয় পার্টি দ্বিধা বিভক্ত হয়ে পড়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, রংপুর জাতীয় পার্টির প্রভাবশালী নেতা মশিউর রহমান রাঙাসহ কয়েকজন প্রভাবশালী জাতীয় নেতার ইন্ধন রয়েছে। এই বাস্তবতায় শেষ পর্যন্ত কী হবে সেটাই দেখার বিষয়।
সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুর ১২টায় রংপুরে অনুষ্ঠিত জাতীয় পার্টির উত্তরবঙ্গ প্রতিনিধি সভায় নেতৃবৃন্দ ঘোষণা দেন, স্থানীয় নেতা-কর্মীরা জীবন দিয়ে হলেও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মরদেহ রংপুর থেকে নিয়ে যেতে দেবে না। তারা জানিয়ে দিয়েছে এরশাদের দাফন যেকোনো মূল্যে রংপুরেই করা হবে।
রাজধানীর সামরিক কবরস্থানে সাবেক এই রাষ্ট্রপ্রধানের দাফনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে নগরীর সেন্ট্রাল রোডের দলীয় কার্যালয়ে পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রংপুর সিটি কার্পোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার সভাপতিত্বে সভায় দুই বিভাগের ঊর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় মেয়র জানান, জীবদ্দশায় এরশাদকে কোনোদিন ভালোভাবে রাজনীতি করতে দেয়া হয়নি। মৃত্যুর পরও তাকে এবং তার দলকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আমরা চাই এরশাদের স্মতি বিজরিত রংপুর নগরীর দর্শনামোড়ের পল্লীনিবাসেই তার অসিয়তকৃত জায়গায় দাফন করা হোক। যদি না হয় তাহলে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগীয় জাতীয় পার্টি প্রয়োজনে জীবন দিয়ে হলেও মরদেহ রংপুর থেকে ঢাকায় নিয়ে যেতে দেবে না।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় তিন নেতার সমাধির পাশে দাফন হলে কিংবা এরশাদকে জাতীয় নেতার স্বীকৃতি দিলে আমাদের আপত্তি থাকতো না। অথচ এসব না করে একটা আবদ্ধ জায়গায় দাফনের সিদ্ধান্তের বিষয়টি গভীর যড়যন্ত্রের অংশ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন, সাবেক সংসদ সদস্য শাহানারা বেগম, কেন্দ্রীয় জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও রংপর মহানগরের সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াসীর, কেন্দ্রীয় জাপার সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী আব্দুর রাজ্জাক, গাইবান্ধা জেলা জাপার আহ্বায়ক আব্দুর রশীদ সরকারসহ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের নেতৃবৃন্দ।