এরশাদের ইচ্ছা ছিলো মায়ের পাশে, দাফন হচ্ছে সামরিক কবরস্থানে!
প্রকাশিত হয়েছে : ৮:৪১:৫৯,অপরাহ্ন ১৪ জুলাই ২০১৯ | সংবাদটি ৭৮৪ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: শেষ ইচ্ছা পূরণ হচ্ছেনা সদ্য প্রয়াত জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের। ইচ্ছা ছিলো রংপুরে মায়ের কবরের পাশে শায়িত হবেন। কিন্তু তাঁর কবর হচ্ছে ঢাকা সেনানিবাসের কবরস্থানে।
স্ত্রী রওশন এরশাদ ও এরশাদের ভাই জি এম কাদের সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
দাফনের আগে এরশাদের চারটি জানাজা হবে। এর মধ্যে তিনটি জানাজা হবে ঢাকায় আর অন্যটি হবে রংপুর জেলা স্কুলে।
গত সপ্তাহে মৃত্যুর আগেই দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্যদের বৈঠকে এরশাদের দাফন নিয়ে কয়েক দফা আলোচনা হয়। সেখানে কোথায় দাফন করা হবে তা নিয়ে মতবিরোধও হয়। কেউ চেয়েছিলেন রংপুরের পল্লীনিবাসে তার সমাধি করা হোক। আবার অনেকে এই প্রস্তাবের বিরোধীতা করে পাবলিক প্লেসে (আজিমপুর অথবা অন্য কোথাও) জায়গা কিনে সেখানে এরশাদের কবর করার পক্ষে মত দেন।
জাপা মহাসচিব বলেন, রবিবার বাদ জোহর সেনাবাহিনীর কেন্দ্রীয় মসজিদে এরশাদের প্রথম জানাজা হবে। এরপর লাশ নেওয়া হবে বনানীতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে। সেখানে নেতাকর্মীদের শ্রদ্ধা জানানোর পর লাশ রাখা হবে হিমঘরে।
সোমবার সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় দ্বিতীয় জানাজা ও বেলা ১১টায় বায়তুল মোকাররম মসজিদে তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
মঙ্গলবার রংপুরে নেওয়া হবে সাবেক রাষ্ট্রপতির লাশ। রংপুর জেলা স্কুল মাঠে চতুর্থ জানাজার পর এরশাদের লাশ ফের ঢাকায় আনা হবে। এরপর ঢাকা সেনাবাহিনী কবরস্থানে দাফন করা হবে রংপুর-৩ আসন থেকে নির্বাচিত হওয়া এই সাংসদকে।
এদিকে রংপুর জাতীয়পার্টির এক নেতা বলেন, তিনি (এরশাদ) আমাদের রংপুরের কৃতিসন্তান, তাঁকে এখানে দাফন করার দাবি এখানকার সর্বস্তরের মানুষের। আর এরশাদ সাহেবের ইচ্ছাও ছিলো এখানে তাঁর মায়ের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন।
উল্লেখ্য, রবিবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এরশাদ। ৯০ বছর বয়সী এরশাদ রক্তে সংক্রমণসহ লিভার জটিলতায় ভুগছিলেন।
গত ২২ জুন সিএমএইচে ভর্তি করা হয় তাকে। এর আগেও তিনি একাধিকবার দেশ-বিদেশে চিকিৎসা নেন।