‘মসজিদ নির্মাণ করে জায়গা দখলের চেষ্টা করা হয়েছিল’
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:১৩:২১,অপরাহ্ন ০৬ জুলাই ২০১৯ | সংবাদটি ৭০০ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: জমি দখল মুক্ত করার কৌশল হিসেবে বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ নদীর তীরে ৪৮টিরও বেশি মসজিদ নির্মাণের কথা জানিয়েছেন নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। জানিয়েছেন, নদীর জমি উচ্ছেদ করতে গিয়ে এই কৌশলটি প্রকাশ হয়েছে।
শনিবার (৬ জুলাই) রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের বুড়িগঙ্গার তীরের খোলামোড়া ঘাট এলাকায় এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। নদী রক্ষা প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায় সীমানা পিলার ও আনুষাঙ্গিক কাজের উদ্বোধন করতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয।
খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘প্রথমে মসজিদ নির্মাণ করে জায়গাগুলোকে দখলের চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু কোন সরকারি জায়গায় অথবা বিতর্কিত জায়গায় ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বা মসজিদ করার অনুমতি দেয়নি ইসলাম ধর্ম।’
বুড়িগঙ্গাকে দখলমুক্ত করতে জনগণের সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানান প্রতিমন্ত্রী। দখলদারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘নদী দখলমুক্ত করতে যারাই বাঁধা দেবে, তাদেরকে কোনোভাবেই রেহাই দেওয়া হবে না। ছাড় দেওয়া হবে না।‘
‘পদ্মা-মেঘনা-যমুনা তোমার আমার ঠিকানা, এটা ছিল একসময় আমাদের পরিচয়, কিন্তু আমাদের সেই পরিচয় হারিয়ে যেতে বসেছে, আমাদের বুড়িগঙ্গা নদী শুকিয়ে গেছে, হারিয়ে যাচ্ছে। নদী দখলের ব্যাপারে রাষ্ট্র পূর্বে কোন যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি, তাই নদীগুলোতে দখল করেছে, সাথে সাথে আমাদের পরিচয় পর্যন্ত বেদখল হয়েছে।‘
‘৭৫ পরবর্তী জিয়া, এরশাদ, খালেদা সরকার লুটপাট করেছে, নদী দখলে সহযোগিতা, আমরা সেই নদীতে দখলমুক্ত করব।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘নদীর নাব্যতা না থাকার কারণেই সামান্য পাহাড়ি ঢলে সারাদেশ ডুবে যাচ্ছে, তাই এসব নদীতে রক্ষা করতে হবে নদীর খনন করতে হবে। বুড়িগঙ্গা-তুরাগ এমন একটি পরিবেশ হবে, যেখানে মানুষের জীবিকার উৎস হবে এই নদীগুলো।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআইডাব্লিউটিএ) এর চেয়ারম্যান এম মাহবুব-উল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল। উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্যা হাজী মো. সেলিম, ঢাকা-২ আসনের সংসদ সদস্য কামরুল ইসলাম, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল সালাম, কলামিস্ট আবুল মকসুদ।