ডালাসে বান্টের জমকালো বৈশাখের উ্যসব সম্পন্ন
প্রকাশিত হয়েছে : ৬:৪০:০৭,অপরাহ্ন ০৩ জুন ২০২৪ | সংবাদটি ৪১০ বার পঠিত
জুয়েল সাদত :
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ নর্থ টেক্সাস ( বান্ট) আয়োজিত বৈশাখী মেলা ১৪৩১ এ ছিল প্রবাসীদের উপচে পড়া ভীড়।
ডালাসের প্লানো অ্যাম্ফিথিয়েটারে একটি জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ২৬ শে মে শেষ হল ডালাসের বৈশাখের উ্যসব। এ মেলায় ৬৫ টিরও বেশি স্থানীয় শিল্পী অংশগ্রহণ করে গান, নাচ, কবিতা ও ফ্যাশন শো দিয়ে দর্শকদের বিনোদিত করেন। ইভেন্টটি ২৬ মে বিকেলে শুরু হয়েছিল এবং রাত ১১ টা পর্যন্ত চলেছিল। প্রথম দিকে ডালাসের শিল্পীরা পরিবেশন করেন মুল অনুস্টান এবং রাত ৯.৩০ এর পর সোলস এর মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা ছিল মুল আকর্ষন। এবার সোলস ব্যান্ডের ৭ সদস্যের নেতৃত্বে ছিলেন পার্থ বড়ুয়া। মেলায় তাদের প্রিয় গান, মানুষ, শুধু মন চাইছে, পরিচয়, দেখা তোমায় বন্ধুর কারনে এবং কোন কারনে নয় – গানটি পরিবেশেন কালে দর্শকরা নেচে আনন্দ প্রকাশ করেন। সোলস একাধারে তাদের সব জনপ্রিয় গান পরিবেশন করেন। সোলস ২০০০ এর অধিক দর্শকদের তাদের সাবলীল পরিবেশনায় আনন্দে মাতিয়ে রাখেন। সোলস এর গান শুনার জন্য সারাদিন বিকেল থেকে রাত অবধি হাজার হাজার দর্শক ছিলেন উপস্থিত।
বেশাখের উ্যসবের আগে, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, স্পনসর এবং বান্ট নির্বাহী কমিটি ২৩শে মার্চ স্থানীয় স্পাইস অফ রিচার্ডসন রেস্তোরাঁয় একটি বিশেষ মিটিং আয়োজন করেছিলেন।
বানট এর সদস্যরা অসাধারন করে বাংলাদেশের আদলে বৈশাখের উন্মুক্ত মঞ্চ তৈরী করেন। বাঙ্গালী কালচার, কৃস্টি ও নতুন বছরের গ্রামীন পরিবেশ ফুটিয়ে তুলেন।
২৬ শে মে মুল অনুস্টান এর পুর্বে তাসকির আলী খানের নেতৃত্বে বৈশাখী আনন্দ শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে শুরু হয়। পরবর্তীতে স্থানীয় শিল্পীদের সাংস্কৃতিক অনুস্টান ভিন্নমাত্রা যোগ করে। স্থানীয় গুনি শিল্পীদের পরিবেশনা সবাই উপভোগ করেন। এবারের মেলায় রেকর্ড সংখ্যক ৩০ টিরও বেশি স্টল, ৬ টি রেস্তোরাঁ এবং নানা স্পন্সর কোম্পানী পুরো অনুষ্ঠানটিকে একটি ভিন্ন মাত্রায় নিয়ে যেতে তাদের সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেল ।
এই প্ল্যানো এমপি থিয়েটারে বিগত কয়েক বছরের রেকর্ড ভঙ্গ করে, ২২০০ এরও বেশি স্থানীয় বাসিন্দারা মেলা উপভোগ করেন, স্থানীয় শিল্পী এবং সোলস এর ব্যান্ড সঙ্গীত ছিল বাড়তি আকর্ষন। ডালাস, অস্টিন, হিউস্টন, প্লানো সব সিটির বাংলাদেশীদের উপস্থিতি ভিন্ন মাত্রা যোগ করে । বান্ট বাংলাদেশী ঐতিহ্য কৃস্টি ধরে রাখা ও বিভিন্ন সেবা মূল কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে।
বর্তমান কমিটি তাদের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে আগামীতে ‘বান্ট বাংলাদেশ সেন্টার’ ও ‘বান্ট বাংলা স্কুল’ তৈরীর ঘোষনা করে। ২ দিনের বৈশাখের উ্যসবের দ্বিতীয় রাত্রে ছিল লেজার শো, এলইডি স্ক্রিন ডিসপ্লে ও রেস্টুরেন্টের সুস্বাদু সব খাবার উপভোগ করেন দর্শকরা। একই জায়গায় বসে খাওয়া আর একই খোলা জায়গায় দর্শকদের অনুষ্ঠান দেখার মজাই আলাদা ছিল।
ডালাসের স্থানীয় শিল্পীদের নিয়ে অনুষ্ঠানের মূল পরিকল্পনা ও পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন সাংস্কৃতিক সম্পাদক ফারহানাজ রেজা এবং পুরো বৈশাখী মেলা পরিচালনা করেন সভাপতি জনাব সাগর শামসুদ্দোহা, সহ-সভাপতি ফাহিম খান এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ রশিদ লিমন।
বান্ট সভাপতি সাগর সামসুদ্দোহা ঘোষণা করেন যে আগামী বছর ১৯ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হবে আরো বড় পরিসরে এবং তিনি ২০২৪ এর বৈশাখি মেলা সফল করায় সংশ্লিষ্ট সকলকে বিশেষ ধন্যবাদ জানান।
বান্ট এর গণমাধ্যম ও যোগাযোগ সচিব রেজা রহমান আগামী বছরের বৈশাখীর অনুস্টান বৃহদ আকারের করার জন্য গনণমাধ্যম এর সহযোগীতা কামনা করেন।