স্বাস্থ্যমন্ত্রীর অপসারণ চান বিএনপিদলীয় এমপি হারুন!
প্রকাশিত হয়েছে : ৩:৩২:১৩,অপরাহ্ন ২৩ জুন ২০২০ | সংবাদটি ৪৮১ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ব্যর্থ হয়েছে অভিযোগ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের অপসারণ চেয়েছেন বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ।
মঙ্গলবার (২৩ জুন) সংসদে নিজের বক্তব্য উপস্থাপনকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের থেকে নির্বাচিত বিএনপির এ সংসদ সদস্য স্বাস্থ্যখাতের মূল পদে দক্ষ ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ব্যক্তিদের নিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তর একটি বিকলাঙ্গ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। স্বাস্থ্যখাতের প্রধান ব্যক্তিদের পরিবর্তন করেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে সরিয়ে দিন। তাদের সরিয়ে দিয়ে উপযুক্ত ও প্রতিশ্রুতিশীল ব্যক্তিদের সেখানে বসান।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী কি কোনো কোভিড হাসপাতাল পরিদর্শন করেছে এবং সেখানে চিকিৎসকদের এবং রোগীদের কী কী সমস্যা রয়েছে তা জানতে চেয়েছেন? প্রশ্ন করেন তিনি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পরিচালক এবং তাদের ব্যক্তিগত সহকারীদের কাউকেই ফোন করে পাওয়া যায় না বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
হারুন জানান, গত ১০-১২ দিন ধরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে ফোন করে এবং এসএমএস পাঠিয়ে কোনো সাড়া পাননি। মহাপরিচালক ফ্রি থাকলে ফিরতি কল করার কথা বলে এসএমএস করা হলেও তিনি উত্তর দেননি বলে জানান এ সাংসদ।
তিনি বলেন, ‘করোনা চিকিৎসায় মৃত্যুর দায় মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তরের। বাংলাদেশের করোনা ব্যবস্থাপনা পরিস্থিতিতে দেখে সম্প্রতি চীনা বিশেষজ্ঞরা হতাশা প্রকাশ করেছেন।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বক্তব্য অনুসারে করোনাভাইরাস সংকট যদি আগামী ২-৩ বছর ধরে স্থায়ী হয়, তবে এটি সত্যই একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা দরকার।
প্রসঙ্গত, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৩৪১২ জনের শরীরে মহামারি করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে এবং মৃত্যুবরণ করেছেন আরও ৪৩ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, মঙ্গলবার পর্যন্ত দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ১৯ হাজার ১৯৮ জন। সেই সাথে মারা গেছেন মোট এক হাজার ৫৪৫ জন।
এদিকে, করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৮৮০ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৭ হাজার ৬৩৫ জন। সুস্থতার হার ৩৯.৯৬ শতাংশ।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দেশে নতুন করে এ ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।