‘দুইবার গ্রেনেড হামলায় বেঁচে যাওয়াটা ছিল তার মিরাকল’
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:০০:০৭,অপরাহ্ন ১৫ জুন ২০২০ | সংবাদটি ৭৪৬ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের আকষ্মিক মৃত্যুতে ব্যতীত।
তিনি বদর উদ্দিনের কামরানের অতীতের ঘাত প্রতিঘাত মোকাবেলার স্মৃতি তুলে ধরে বলেন, ‘আমাদের কামরান মারা গেল। কামরান দুই বার গ্রেনেড হামলায় আহত হয়েছিল। ওই সময় কামরানের বেঁচে যাওয়াটা ছিল মিরাকল (অলৌকিক)।
তবে এবারে তাকে করোনা ভাইরাসে মৃত্যু বরণ করতে হলো, এটা অত্যন্ত কষ্টের।
সোমবার (১৫ জুন) স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) এর ৩৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেওয়া বক্তৃতায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সদ্য মৃত্যু বরণকারী বদর উদ্দিন কামরানের স্মৃতি চারণ এভাবে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
উল্লেখ্য, বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলে বদরউদ্দিন কামরানকে লক্ষ্য করে দুবার গ্রেনেড হামলা করে জঙ্গিরা। দু’বারই তিনি অলৌকিকভাবে বেঁচে যান।
এসময় তিনি সদ্য মৃত্যুবরণকারী সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ও ধর্মপ্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ’র কথাও স্মরণ করে বলেন, গতকাল আরও দুই জন মারা গেলেন। এরকম একের পর মৃত্যুর সংবাদ শুনতে হচ্ছে। শোক ব্যাথা, তবুও জীবনকে চালিয়ে নিয়ে যেতে হবে। বাস্তবতাকে মেনেই চলতে হবে।
এদিকে, এরআগে বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শোক বিবৃতিতে তিনি বলেন, স্বীয় কর্মের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নেতা কামরান গণমানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন।
প্রধানমন্ত্রী মরহুমের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
তিনি সোমবার (১৫ জুন) ভোর ২ টা ৪৫ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান
এরআগে গত ৫ জুন করোনা আক্রান্ত হয়ে বাসায় আইসোলেশনে ছিলেন কামরান। শারীরিক অবস্থার কিছুটা অবনতি হলে ৬ জুন তাকে সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি করা হয়। অবস্থার আরও অবনতি হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ৭ জুন তাকে শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতাল থেকে বিমানবাহিনীর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় নেয়া হয়। ৮ জুন সিএমএইচে তাকে প্লাজমা থেরাপি দেয়া হয়।
প্লাজমা থেরাপির পর কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠছিলেন তিনি। তবে তাকে সিএমএইচের আইসিইউতে রেখে অক্সিজেন সাপোর্টে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল।
রবিবার রাতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। সোমবার ভোরে না ফেরার দেশে চলে যান।
এরআগে গত ২৭ মে কামরানের স্ত্রী আসমা কামরানের শরীরেও করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। তিনি এখন সুস্থতার পথে।