নিভে গেলো আমাদের মেঘনা পাড়ের তারা
প্রকাশিত হয়েছে : ৮:৫৮:৩৪,অপরাহ্ন ১৩ জুন ২০২০ | সংবাদটি ৬৯৮ বার পঠিত
।। মনজুরে মাওলা ।।
নব্বইয়ের দশক। চোখ বুঝলেও আলোর কিরন দেখা যেত দেশের বেশ কিছু লাইটপোস্টে। কিছু কিছু জ্বলজ্বল নক্ষত্র ছিলো দেশজুড়ে।
সিলেটে প্রিন্সিপাল হাবীবুর রহমান, খুলনায় শওকত আলী, হবিগঞ্জে তাফাজ্জুল হক হবিগঞ্জী -এভাবেই সারাদেশ। লক্ষ্মীপুরেও ছিলো একটি হাই ভোল্টেজ তারা। ঐ এলাকার মানুষ আলোময় থাকতো সেই তারার কিরনে।
আজ শনিবার (১৩ জুন) নিভে গেছে মেঘনা পাড়ের চিরচেনা সেই বাতি। লক্ষিপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা জেলা প্রাণময়-আলোময় থাকতো যে বাতির নিচে। তিনি প্রবীণ আলেমেদ্বীন মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস।
তিনি টুমচর ইসলামিয়া কামিল মাদরাসার সাবেক ভাইস প্রিন্সিপাল, লক্ষ্মীপুর চকবাজার জামে মসজিদের সাবেক ইমাম ও খতিব, হাজারো আলেমের উস্তাদ, খেলাফত মজলিস লক্ষ্মীপুর জেলার সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা।
শনিবার (১৩ জুন) সুবহে সাদিকের সময় তিনি নশ্বর ঠিকানা ছেড়ে তাঁর অবিনশ্বর স্থায়ী ঠিকানায় স্থানান্তরিত হয়েছেন।
আমরা সেই কৈশোর থেকেই দেখে আসছি খেলাফত প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে তাঁর আজীবন সক্রিয় ভূমিকা। আমরা ঐ সময় প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠেই একবার সারাদেশ দেখে নিতাম। চোখ বুঝেই যেন দেখতে পেতাম ঢাকায় শায়খুল হাদীস, আখতার ফারুক, মাওলানা মুহাম্মদ ইসহাক, মুফতি আমিনী, আহমদ আবদুল কাদেররা জেগে আছেন। আর দেশের অপরাপর অঞ্চলে জ্বলে আছে আরো কত শক্তিশালি লাইটপোস্ট। তাই আমরা এক সেকেন্ডের মুরাকাবায় নিজেকে রিচার্জ করে নিয়ে সারাদিন কাজে ডুবে থাকতাম। ঘাম ও ক্ষুধায় কষ্টের পরিবর্তে তৃপ্তি পেতাম। দ্বীনের দাওয়াত নিয়ে দিনময় ঘুরতাম বাংলার পথে প্রান্তরে। আহা সেই মায়াবী দিন! আমাদের প্রিয় সেই রাতগুলো!
ভালোলাগার সংবাদ
তিনি যাবার আগে নিজ সন্তানকেই বানিয়ে রেখেছেন জাতির আরেক বিশ্বস্থ বাতিঘর। হাকিমুন্নাফস মুস্তাকুন্নবী সাহেব তার গর্বিত সন্তান।
আললাহ রাববুল আলামীন হযরতকে জান্নাতুল ফিরদাউসের মেহমান হিসেবে কবুল করুন।
سقى الله ثراه و جعل الجنة مثواه