করোনা: তুমি না একটি বিপদ, তবে কেন এত তামাশা?
প্রকাশিত হয়েছে : ৫:১০:২১,অপরাহ্ন ১৯ মে ২০২০ | সংবাদটি ৪৯৪ বার পঠিত
।। শেখ খালিদ সাইফুল্লাহ ।।
তামাশা-৪
(সীমিত সংখ্যক প্রসংগে)
চলছে Lockdown! বন্ধ হয়েছে যাতায়াত গণপরিবহনে,উড়ছে না হাওয়াই জাহাজ,চলছেনা বাস দূরপাল্লায় ৷তামিল করেছে সকলেই,তবুও দিশেহারা অনেকেই৷ দেখা যায় হাটে-বাজারে,ব্যাংক-বীমা ও শিল্প-কারখানায় লোকের কমি-বেশি সমাগম৷ সচেতন মহলের অফিসেও ভঙ্গ হচ্ছে ‘সামাজিক দূরত্ব বজায়’ নামের সরকারী হুকুম৷ করোনা! বিছিয়ে রেখেছো তোমার মরণব্যাধি ফাঁদ সর্বত্র,সংক্রামক হয়ে একের পর এক প্রাণ কবজ করেছ যত্রতত্র ৷ তবু সচেতন মহল ও কথিত বিশেষজ্ঞের চোখে ধরা পড়েনি তোমার এ আক্রমন৷ ওরা কোথাও পায়নি খোজে তোমাকে,পেয়েছে শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আর আল্লাহর ঘর মসজিদে ৷বলে ওরা হউক প্রতিরোধকের যথোচিত প্রয়োগ কেবল মসজিদের মুসল্লী,বেঁচে থাকুক মন্দির-মণ্ডপ আর গির্জার পাদ্রী৷ অথচ হায়! ‘যেখানে বাঘের ভয় সেখানে সন্ধা হয়’ ৷করোনা! তুমি ঘুরে ছুঁয়ে এসেছো অনেক জায়গা এমনকী ইস্কন মন্দিরে ,দোহাই আল্লার! এখনো আক্রমন করোনি বাংলার কোন মসজিদে ৷সামাজিক দূরত্ব বজায়ের নামে আরো কত প্ররোচনা,জামাতে নামাজ বন্ধের নামে দেয়ে সীমিত পরিসরের প্রেরণা ৷ মসজিদে জামাত হলো ৫-১০ জনের এ থেকে বেশি নয়,মনোরঞ্জনে কথিত সাংবাদিক ২০-৩০ জন ঠিকই হাজির হয়৷ চলছিল সীমিত সংখ্যক মুসল্লী নিয়ে নামায মসজিদে,সেখানেও শুরু করেছ ফটোসেশনের হিড়িক দেখছে জনগণে৷এ কেমন সুরক্ষা, নিরাপদ দূরত্ব বজায়ের নামে এ কেমন হলদে সাংবাদিকতা৷শুধু কি তাই,ওরা চায় (ইমামহীন) জামাতে নামাজ আদায় হলে Television করবে ইমামতি ৷তারাবীর নামাজ ২০ রাকাত ছেড়ে ৮ রাকাত পড়তে হবে একাকী ৷ এখনো পারেনি ওরা শিল্প-কারখানা,ব্যাংক-বীমা সহ বাহিরের দৃশ্য পাল্টাতে৷ চায় শুধু মসজিদের নিরাপদ আশ্রয় সর্বোৎকৃষ্ট Lockdown উল্টাতে ৷ অর্থেরচাকা সচল রাখতে (ওদের প্ররোচনায়) খোলে দিতে হলো শিল্প-কারখানা, শপিংমল ও মার্কেটকে;প্রার্থনার দুয়ার বন্ধ রেখে মুক্তি আসবেনা কবো তুমি জানিয়ে দিলে তাদেরকে। এ কেমন চিন্তা-চেতনা ওদের,এ কেমন বৈসম্যতা, এ যেন খাল কেটে কুমির আনার মতো ৷ অবশেষে উম্মুক্ত করে দেয়াহল আল্লাহর ঘর মসজিদকে,তাই মুসল্লিদের কাছে অনুরোধ অগ্রাধিকার দিবেন যেন নিজ সুরক্ষাকে। করোনা!তোমাকে নিয়ে এ কেমন টালবাহানা?এ কেমন অবরোধের মেজিক ? ইসলামবিদ্বেষীর কোন ষড়যন্ত্র নয়তো? । পরবর্তীতে তামাশা- শেষ পর্ব৷