মোদির আগমন বাতিলে দেশব্যাপী ইসলামী দলসমূহের ঐক্যবদ্ধ কর্মসূচী ঘোষণা
প্রকাশিত হয়েছে : ১:০৪:৩৭,অপরাহ্ন ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | সংবাদটি ২২২৪ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: দিল্লীতে গণহত্যা, মসজিদ ও মুসলমানদের ঘর বাড়ীতে অগ্নিসংযোগের মুল খলনায়ক নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ আগমন প্রতিহত করতে আগামী ৬ মার্চ (শুক্রবার) দেশব্যাপী বিক্ষোভ ও ঢাকায় গণমিছিলের কর্মসূচি দিয়েছে ইসলামী সমমনা দল সমুহ।
এ গণমিছিল বাস্তবায়নের লক্ষে ২ মার্চ ঢাকা মোহাম্মদপুর, ৩ মার্চ মিরপুর ও ৪ মার্চ যাত্রাবাড়ীসহ বিভিন্ন জোন ভিত্তিক বিক্ষোভে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
শুক্রবার (২৯ ফেব্রয়ারি) বাদ যোহর জমিয়ত উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা নূর হোছাইন কাসেমীর বারিধারাস্থ কার্যালয়ে এক জরুরী বৈঠকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
আল্লামা নূর হোছাইন কাসেমীর সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ এর সহসভাপতি শায়খুল হাদিস আল্লামা আব্দুর রব ইউসূফী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড.আহমদ আব্দুল কাদের, মুসলিম লীগের মহাসচিব কাজী আবুল খয়ের, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের মহাসচিব অধ্যাপক মাওলানা মোস্তফা তারেকুল হাসান, খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ এর যুগ্ম মাওলানা ফজলুল করীম কাসেমী, মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী, বাংলাদেশ খেলাফ মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দিন, খেলাফত মজলিসের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজি, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা.সাখাওয়াত হোসাইন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের প্রচার সম্পাদক মাওলানা জয়নুল আবেদীন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সহ প্রচার সম্পাদক মাওলানা ফয়সল আহমদ, মাওলানা এবিএম শরীফুল্লাহ, মাওলানা ছানাউল্লাহ মাহমুদী প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে জমিয়ত মহাসচিব আল্লামা নূর হোছাইন কাসেমী বলেন,যে নরন্দ্র মোদির প্রত্যক্ষ মুদদে ভারতের পুলিশ এবং উগ্র হিন্দুরা দিল্লিতে মুসলিম গণহত্যা চালিয়েছে, মুসলমানদের ঘর বাড়ী, মসজিদ মাদরাসায় অগ্নিসংযোগ করেছে, সেই নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখবে আমাদের দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষ তা বরদাস্ত করবেনা।
দেশের জনগণের মাঝে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়তে পারে এজন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি যাতে বাংলাদেশে আসতে না পারে আমরা ধারাবাহিক আন্দোলন চালিয়ে যাবো। আমরা চাই আমাদের দেশের সামপ্রদায়িক সম্প্রীতি অঠুঠ থাকুক। আমাদের বিশ্বাস আমাদের সরকার বাংলাদেশের মুসলমানদের মনোভাব বুঝতে পেরেছে। তারা সংঘাতের পথ পরিহার করে মোদির আমন্ত্রন বাতিল করবে। যদি বাতিল না করে তাহলে আমাদের ঈমানী দায়িত্ব হবে মোদিকে যে কোন ভাবে প্রতিহত করা। আর প্রতিহত করতে হলে দল মত নির্বিশেষে দেশের সকল মুসলমানদেরকে ঈমানী দায়িত্ব নিয়ে মযদানে আন্দোলনে অংশ গ্রহণ করতে হবে।