‘আমার মতো ৬৪ জেলায় ৬৪ জন জন্মালে এমপি-মন্ত্রী লাগতো না’
প্রকাশিত হয়েছে : ৩:৪১:১০,অপরাহ্ন ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | সংবাদটি ২৪৩৮ বার পঠিত
গাইবান্ধা থেকে সংবাদদাতা:: আমার মতো ৬৪ জেলায় ৬৪ জন ছেলে জন্ম নিলে দেশে এমপি-মন্ত্রী বা সরকার লাগতো না। দেশের মন্ত্রী, এমপি এবং জেলার ডিসি, এসপি সবই তাঁর নিয়ন্ত্রণে। এমন দাবি করেছেন গাইবান্ধার ‘আশার আলো প্রভাতি সংস্থা’র চেয়ারম্যান ডা. মো. শফিকুল ইসলাম সাজু।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ডাকবাংলা বাজারে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে এক সমাবেশে এ দাবি করেন শফিকুল ইসলাম সাজু।
এসময় তিনি বলেন, ‘গাইবান্ধা ডিস্ট্রিকের ডিবি (পুলিশ) কন, ওসি কন, এসপি কন, ডিসিসহ যতো কিছুই কন, সব আমাদের নিয়ন্ত্রণে চলে। সাত উপজেলায় এমপি, মন্ত্রী, চেয়ারম্যান যতো কিছুই থাক না কেন, আমার চেয়ে বড় মাইকেল কেউ নেই। আমি চ্যালেঞ্জ দিলাম, কোনো এমপি, মন্ত্রী যদি আমার সঙ্গে টিকে থাকতে পারে তাহলে সংস্থা থেকে বহিষ্কার হয়ে যাবো।’
সমাবেশে সাজু আরো বলেন, ‘আমার মতো ৬৪ জেলায় ৬৪ জন ছেলে জন্ম নিলে দেশে এমপি-মন্ত্রী বা সরকার লাগতো না। জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার সাঘাটা-ফুলছড়ির এমপি। আর আমি গোটা জেলার দায়িত্বে, কাজ করতে সরকার আমাকে অনুমতি দিয়েছে।’
শফিকুল ইসলাম সাজু বলেন, ‘সরকার শিক্ষা ভাতা ৬ মাসে দেয় ৩০০ টাকা, আমি দেই ৯০০ টাকা। কম দিচ্ছি নাকি? সরকারের সঙ্গে যুদ্ধ করা লাগলেও আমি করব, তবুও জনসেবা করব। কোথাও কেউ আমার কোনো কর্মীর কাজের প্রতিবাদ করলে তোমরা আমাকে অবগত করবা, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের তুলে আনব। অন্যথায় ক্ষমতা ছাড়ব।’
অনুষ্ঠানের ব্যানারে প্রধান অতিথি হিসেবে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার নাম ছিল। কিন্তু তিনি ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না।
এদিকে ‘আশার আলো প্রভাতি সংস্থা’টির সম্পর্কে গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক আবদুল মতিন বলেন, ‘এ এনজিওকে আমরা চিনি না। আমি সাঘাটার ইউএনওকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলব।’