ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনসহ একনেকে ৯ প্রকল্প অনুমোদন
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:০৬:৪১,অপরাহ্ন ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | সংবাদটি ২৮৩ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: ‘ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণসহ ৯ টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক)।
এ ৯টি প্রকল্পে ব্যায় হবে ২ হাজার ৪২২ কোটি ২৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ২ হাজার ১০৮ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৩১৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভার সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।
বৈঠক শেষে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনা কমিশনের সচিব নুরুল আমিন ।
পাস হওয়া প্রকল্পগুলোর মধ্যে নতুন ৫টি প্রকল্প এবং ৪টি সংশোধিত প্রকল্প রয়েছে।
অনুমোদিত প্রকল্পসমূহ হলো- বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন প্রকল্পের প্রয়োজনীয় জমি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক সুবিধাদি উন্নয়ন’ প্রকল্প।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ২টি প্রকল্প যথাক্রমে ‘বানেশ্বর (রাজশাহী)-সারদা-চারঘাট-বাঘা-লালপুর (নাটোর)-ঈশ্বরদী (পাবনা) (আর-৬০৬) জেলা মহাসড়ককে আঞ্চলিক মহাসড়কের মানে উন্নীতকরণ’ প্রকল্প ও ‘সৈয়দপুর-নীলফামারী মহাসড়ক (আর-৫৭০) প্রশস্তকরণ ও মজবুতিকরণ (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্প।
পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের- ‘হবিগঞ্জ জেলার বিবিয়ানা বিদ্যুৎ কেন্দ্রসমূহের সম্মুখে কুশিয়ারা নদীর উভয় তীরের প্রতিরক্ষা’ প্রকল্প।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের ৩টি প্রকল্প যথাক্রমে ‘তেজগাঁও-এ বিসিকের বহুতল ভবন নির্মাণ (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্প, ‘বিসিক প্লাস্টিক শিল্পনগরী (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্প এবং ‘বিসিকের ৮টি শিল্পনগরী মেরামত ও পুনর্নির্মাণ’ প্রকল্প।
এছাড়া, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর অবকাঠামো উন্নয়ন (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্প এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ‘মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৫০ শয্যা ও জেলা সদর হাসপাতালে ১০ শয্যার কিডনি ডায়ালাইসিস সেন্টার স্থাপন’ প্রকল্প।
সভায় উপস্থিত ছিলেন- অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী।
এছাড়া সভায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, এসডিজির মুখ্য সমন্বয়ক, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যবৃন্দ, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সমূহের সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ভারত থেকে আমদানি করা জ্বালানি পরিবহন করা হতো ট্যাঙ্কার, নৌকা বা রেলের বগিতে। পুরনো এ পদ্ধতির পরিবর্তে এখন থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে জ্বালানি নিয়ে আসা হবে। এ জন্য ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন স্থাপনের উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন।
আধুনিক এ পদ্ধতি প্রয়োগের মাধ্যমে জ্বালানি তেলের পরিবহনে লোকসান এবং পরিবেশ দূষণ কমানো সম্ভব হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। সেই সঙ্গে যে কোনো প্রতিকূল পরিবেশেও জ্বালানি পরিবহন, পরিচালন ও সরবরাহ ব্যবস্থা আরও আধুনিক, সহজতর, নিবিঘ্ন ও সুদৃঢ় হবে।
এ জন্য ‘ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনের জন্য প্রয়োজনীয় ভূমি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক সুবিধাদি উন্নয়ন’ শীর্ষক একটি প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছিলো পরিকল্পনা কমিশনে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ৩০৬ কোটি ২৩ লাখ টাকা।