কালো পতাকা মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ!
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:২৩:০১,অপরাহ্ন ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯ | সংবাদটি ৫০৩ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: বাম গণতান্ত্রিক জোটের কালো পতাকা মিছিলে লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। এতে অন্তত ২০-২৫ জন আহত হয়েছেন বলে নেতা-কর্মীরা জানিয়েছেন।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে মিছিল নিয়ে যেতে চাইলে মৎস ভবন এলাকায় পুলিশের সাথে নেতাকর্মীর ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ঘটে। ঘটনার পর থেকে হাইকোর্ট-মৎস্যভবন এলাকার যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে ‘ভোট ডাকাতি’ অ্যাখ্যা দিয়ে ৩০ ডিসেম্বর ‘কালো দিবস’ পালনের দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক জোট এ মিছিল করছিল।
২০১৮ সালের ১৮ জুলাই বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ-খালেকুজ্জামান), গণসংহতি আন্দোলন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন ও বাসদ (মার্ক্সবাদী)—এই আটটি দল মিলে গঠিত হয় বাম গণতান্ত্রিক জোট।
জোটের সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সিপিবি প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুল্লাহ আল ক্বাফি রতন।
তিনি বলেন, পুলিশের হামলায় জোটের নেতা বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকীসহ ২৫-২৬ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
পুলিশের হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ ডেকেছে গণতান্ত্রিক বাম জোট।
এবিষয়ে ডিএমপি রমনা জোনের ডিসি সাজ্জাদুর রহমান বলেন, তাদের (বাম জোটের নেতাদের) অনুরোধ করেছিলাম যেন ব্যারিকেড না ভাঙে। তাদের নেতাকর্মীরা কথা শোনেননি। তারা প্ল্যাকার্ডের সঙ্গে থাকা লাঠি ও বাঁশ দিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। আমাদের পাঁচজন পুলিশ সদস্য আহত হন। এর মধ্যে গুরুতর আহত হয়েছেন দুজন। আমরা অনেক ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছি। পরে আমরা তাদের সরিয়ে দিয়েছি।
রমনা থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, আমরা কয়েক জনকে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছি। ভিডিও ফুটেজ দেখে আমরা ব্যবস্থা নেব।