জাবি উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করলেন আন্দোলনকারীরা!
প্রকাশিত হয়েছে : ৩:৪৭:২৩,অপরাহ্ন ০৪ নভেম্বর ২০১৯ | সংবাদটি ৩২৮ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামকে তার বাসভবনে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন আন্দোলনকারীরা।
শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে শিক্ষকদের আলোচনায় কার্যত কোনো সমাধান না আসায় তারা তাকে অবরুদ্ধ রাখে।
সোমবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাতটার দিকে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’-এর ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয় পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে একটি মিছিল বের করেন আন্দোলনকারী শিক্ষক- শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি উপাচার্যের বাসভবনের সামনে গিয়ে বসে যায়।
উপাচার্য অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত অবরোধ থাকবেন বলে জানান আন্দোলনকারীরা। বর্তমানে উপাচার্য তার বাসভবনেই অবস্থান করছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
উপাচার্যের বাসভবনের সামনে বক্তব্য দেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট (মার্কসবাদী) জাবি শাখার সভাপতি মাহাথির মুহাম্মদ। তিনি বলেন, ‘আমরা উপাচার্যকে অনেক সময় দিয়েছি। কিন্তু তিনি কোনো কর্ণপাত করেননি। উল্টো আন্দোলন দমাতে তিনি ৪০-৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মিথ্যা মামলা দিয়েছেন। এর আগেও তিনি ৫৪ শিক্ষার্থীর নামে মামলা দিয়েছিলেন। এই মামলাবাজ উপাচার্যকে হঠাতেই আমরা আজকে এখানে বসতে বাধ্য হয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘এই দুর্নীতিবাজ উপাচার্যকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আর দেখতে চায় না। কারণ তিনি নিজে মিথ্যা কথা বলেন, তার শিক্ষকরা মিথ্যা কথা বলেন এবং তার প্রশাসনও মিথ্যা কথা বলে। তাই তার থাকার কোনো নৈতিক অধিকার নেই। এখন যদি তাকে বাসা থেকে বের হতে হয় তাহলে আমাদের ওপর দিয়ে মাড়িয়ে বের হতে হবে। আর তিনি যখন এখান থেকে বের হবেন তখন তিনি আর এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থাকবেন না।’
এর আগে সংকট সমাধানে রবিবার রাতে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সাথে আলোচনা হয় আন্দোলনকারী শিক্ষকদের। কিন্তু সেখানে কার্যত কোনো সমাধান আসেনি। আন্দোলনকারীদের কাছে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ চেয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। একইসাথে আন্দোলন স্থগিত করতে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তবে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি না দেখা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষক- শিক্ষার্থীরা।
এদিকে সোমবার টানা দশম দিনের মতো প্রশাসনিক ভবন অবরোধ ও নবম দিনের মতো সর্বাত্মক ধর্মঘট কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। তবে এতদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবন অবরোধের আওতায় থাকলেও রবিবার থেকে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কার্যালয়কে এই অবরোধের আওতায় আনা হয়।