সৌদি থেকে একদিনেই ফিরলেন ২’শ প্রবাসী!
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:৪৭:৫৩,অপরাহ্ন ২৬ অক্টোবর ২০১৯ | সংবাদটি ৩৮৮ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: স্বপ্ন ছিল দেশের বাহিরে গিয়ে ভালো টাকা আয় করবে, সংসারে সচ্ছলতা আনবে। অনেক স্বপ্ন নিয়ে মাত্র পাঁচ মাসে আগে তাই সৌদি আরব গিয়েছিলেন কুড়িগ্রামের আকমত আলী। কিন্তু তার সকল স্বপ্ন এখন দুঃস্বপ্নে পরিণত। তার অভিযোগ, আকামার মেয়াদ (বৈধ অনুমোদন) আরও ১০ মাস থাকলেও তাকে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কুড়িগ্রাম জেলার আকমত আলীর মতো আরও ২শ বাংলাদেশিকে শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাত ১১টা ৩০ মিনিটে সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরতে হয়েছে। বরাবরের মতো শুক্রবারও দেশে ফেরা কর্মীদের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের সহযোগিতায় বিমানবন্দরে জরুরি খাবার-পানিসহ নিরাপদে বাড়ি পৌঁছানোর জন্য সহায়তা দেয় ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম।
২০১৯ সালে ১৬ হাজারের বেশি সৌদিতে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশি ফেরত এলো। এর মধ্যে অক্টোবর মাসেই ওয়েজ আর্নাস কল্যাণ বোর্ডের সহযোগিতায় ৮০৪ জনকে ব্র্যাক সহযোগিতা করলে। এবার ফেরাদের মধ্যে একদিনে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক কর্মী এলেন গতকাল।
শুক্রবার ফেরত আসা গোপালগঞ্জের ছেলে সম্রাট শেখ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আট মাসের আকামা ছিল তার। নামাজ পড়ে বের হলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে, কোনো কিছুই না দেখে দেশে পাঠিয়ে দেয়।
সৌদি থেকে ফেরত আসা নারায়ণগঞ্জের সাইফুল ইসলাম। তার অভিযোগ, আকামার মেয়াদ দেখানোর পরেও তাকে দেশে পাঠানো হয়েছে। সাইফুল বলেন, সবেমাত্র ৯ মাস আগে সৌদি গিয়েছিলেন, আকামার মেয়াদও ছিল ছয় মাস।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলার আব্দুল্লাহ বলেন, আকামা তৈরির জন্য আট হাজার রিয়াল জমা দিয়েছেন কফিলকে। কিন্তু পুলিশ গ্রেফতারের পর কফিল কোনো দায়িত্ব নেয়নি। ফেরত আসা কর্মীরা সরকারকে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান। আর কাউকে যেন তাদের মতো পরিস্থিতির শিকার হয়ে দেশে ফিরতে বাধ্য করা না হয়, সে দাবিও করেন।
ফেরত আসা কর্মীরা যেসব বর্ণনা দিচ্ছেন সেগুলো মর্মান্তিক বলে মন্তব্য করে ব্র্যাক অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান বলেন, সাধারণ ফ্রি ভিসার নামে গিয়ে এক নিয়োগকর্তার বদলে আরেক জায়গায় কাজ করতে গিয়ে ধরা পড়লে অনেক লোক ফেরত আসতে। কিন্তু এবার অনেকেই বলছেন, তাদের আকামা থাকার পরেও ফেরত পাঠানো হচ্ছে। বিশেষ করে যাওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই অনেককে ফিরতে হচ্ছে, যারা খরচের টাকার কিছুই তুলতে পারেননি। রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে এই দায় নিতে হবে। পাশাপাশি নতুন করে কেউ যেন গিয়ে এমন বিপদে না পড়ে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।