দেশে আবিস্কার ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ‘এসআইটি’!
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:৪২:৪০,অপরাহ্ন ০৩ আগস্ট ২০১৯ | সংবাদটি ৫০৫ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: অবশেষে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ‘এসআইটি’ নামে একটি কার্যকরী পদ্ধতি আবিষ্কার করলো বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন। পরমাণু শক্তি কমিশন উদ্ভাবিত স্টেরাইল ইনসেক্ট টেকনিক (এসআইটি) নামের এই পদ্ধতি শিগগিরই মাঠ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।
শনিবার (৩ আগস্ট) সকালে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সাভারস্থ পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ড. স্বপন কুমার চক্রবর্তী এই তথ্য জানান।
পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের খাদ্য ও বিকিরণ জীববিজ্ঞান ইন্সটিটিউটের কীট জীব প্রযুক্তি বিভাগের বিজ্ঞানীরা ডেঙ্গু বিস্তারকারী এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে এসআইটি নামে একটি কার্যকরী পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। পরে সকালে উক্ত পদ্ধতির কারিগরি দিক পরিদর্শন করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। এসময় তিনি উদ্ভাবিত পদ্ধতি নিয়ে অত্যন্ত সন্তোষ প্রকাশ করেন ও পদ্ধতিটি শিগগিরই মাঠ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন।
সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীরা এসময় মন্ত্রীকে জানান, ডেঙ্গু নিরসনে স্টেরাইল ইনসেক্ট টেকনিকটির (এসআইটি) প্রায়োগিক বিষয়ে গবেষণা কার্যক্রম ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এই পদ্ধতিতে পুরুষ জাতীয় এডিস মশাকে গামা রশ্মি প্রয়োগের মাধ্যমে বন্ধ্যাকরণ করা হয়। উক্ত মশা, ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাব রয়েছে এমন এলাকায় অবমুক্ত করা হলে তা প্রকৃতিতে বিদ্যমান স্ত্রী এডিস মশার সাথে মিলিত হয় এবং এতে ওই স্ত্রী জাতীয় এডিস মশার ডিম/লার্ভা নিষিক্ত না হওয়ায় মশার পরিমাণ দিন দিন হ্রাস পেতে থাকে।
ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে এটি একটি অত্যন্ত কার্যকর এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পদ্ধতি। পাশাপাশি এটি পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি বলে পরিবেশের ওপর এর কোনো বিরুপ প্রভাব নেই। এই পদ্ধতিতে শুধু বন্ধ্যা পুরুষ মশাই প্রকৃতিতে অবমুক্ত করা হবে।
যেহেতু পুরুষ মশা ডেঙ্গুর জীবাণু বহনে অক্ষম, তাই এর মাধ্যমে ডেঙ্গুর বিস্তার ঘটার কোন সম্ভাবনা নাই। তদুপরি পুরুষ এডিস মশা মানুষকে কামড়ায় না। কাজেই কমিশনের এসআইটি পদ্ধতিটি দেশে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম।
এই পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন- কমিশনের চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক, সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. সানোয়ার হোসেন, পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক ড. এম. আজিজুল হক, এনআইবির মহাপরিচালক ড. মো. সলিমুল্লাহ, এইআরই এর বিভিন্ন ইন্সটিটিউটের পরিচালকবৃন্দ, বিভিন্ন স্তরের বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী, কর্মকর্তা ও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।