ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন!
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:৫৮:০৩,অপরাহ্ন ২৩ জুলাই ২০১৯ | সংবাদটি ৫৬৯ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন দেশটির সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও লন্ডনের সাবেক মেয়র বরিস জনসন। ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টি তাদের নতুন নেতা হিসেবে তাকে বেছে নিয়েছে।
তেরেসা মের পরবর্তী উত্তরসূরি হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বিচ্ছেদের জটিল অংক বরিস জনসনকেই মেলাতে হবে। সেজন্য তার হাতে সময় আছে তিন মাস।
দলে বিদ্রোহের মুখে তেরেসা মে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেয়ায় নতুন নেতৃত্ব বেছে নিতে ভোটের আয়োজন করে কনজারভেটিভ পার্টি। সেই দৌড়ে শেষ পর্যন্ত সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট।
দলের নেতা নির্বাচিত হওয়ার মধ্য দিয়ে বুধবার (২৩ জুলাই) থেরেসা মের স্থলে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পাবেন তিনি।
বরিস জনসন যুক্তরাজ্যের বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরমি হান্টকে বিপুল ব্যবধানে পেছনে ফেলে টরি পার্টির নেতা নির্বাচিত হলেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমগুলো এই খবরই জানিয়েছে। গত সাত সপ্তাহ ধরে নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষে কনজারভেটিভ দলের ১ লাখ ৬০ হাজার সদস্য তাদের নেতা হিসেবে বরিস জনসনকেই বেছে নিয়েছে।
এর আগে ব্রেক্সিট নিয়ে চলমান অস্থিরতার মধ্যে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। রাজনৈতিক এই অচলাবস্থায় নিজ দলের ভেতর গ্রহণযোগ্যতা না থাকায় তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন। জনসন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তিনি নেতা নির্বাচিত হলে আগামী অক্টোবরের বেধে দেয়া সময়সীমার মধ্যে যেকেনো মূল্যে ব্রেক্সিট কার্যকর করবেন।
২০১৬ সালের গণভোটে ব্রিটিশরা ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে আসার পক্ষে রায় দিলে ব্রেক্সিট কার্যকরের প্রক্রিয়া শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে ব্রেক্সিট কার্যকরের বিষয়ে একটি চুক্তি করলেও তাতে সম্মতি দেয়নি দেশটির পার্লামেন্ট। চুক্তি পাসে ব্যর্থ থেরেসা মে গত ৭ জুন পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
সম্প্রতি করা জরিপে দেখা গেছে, দলের ৭৩ শতাংশ নেতা-কর্মী বরিস জনসনকে সমর্থন দেয়ার কথা বলেছেন। এদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্টের পক্ষে ভোট দেয়ার কথা জানিয়েছেন মাত্র ১৫ শতাংশ টরি সদস্য। তবে দলের বিদ্রোহী প্রার্থীরা হুমকি দিয়েছেন, জনসন যদি ব্যর্থ হয় তাহলে তাকেও ক্ষমতায় রাখা হবে না।
এদিকে, থেরেসা মের মন্ত্রিসভার অর্থমন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ডসহ আরও দুজন মন্ত্রী বলেছেন, যদি জনসনের অধীনে কাজ করতে হয় তাহলে আগামী ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে তারা পদত্যাগ করবেন কারণ জনসন চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট কার্যকরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
ব্রেক্সিট বাস্তবায়নে মের পরিকল্পনার সঙ্গে একমত হতে না পারায় বছর খানেক আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে ইস্তফা দেন জনসন। এরপর নানা কারণে আলোচিত-সমালোচিত হন তিনি। দলের ভেতর বিরোধীতার মুখে পদত্যাগ করা থেরেসা মের সরকারের মেয়াদ ২০২২ সাল পর্যন্ত।