‘ঘুষ নিলে শুধু অপরাধী নয়, দিলেও অপরাধী’!
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:২৪:০৯,অপরাহ্ন ১৩ জুলাই ২০১৯ | সংবাদটি ৪৭৫ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কেউ ঘুষ নিলে শুধু সেই অপরাধী, তা কিন্তু নয়, যে দেবে সেও অপরাধী।
শনিবার (১৩ জুলাই) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ২০১৯-২০ অর্থবছরে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
দুর্নীতির কারণে উন্নয়ন যেন ব্যাহত না হয় সেদিকে সচেতন থাকার নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সারাদিন এতো খেটে, এতো কাজ করে পার করি। এখন যদি এই দুর্নীতির কারণে সব নষ্ট হয়ে যায় তবে সেটি সত্যি খুবই দুঃখজনক। তাই দুর্নীতির কারণে যাতে উন্নয়ন ব্যাহত না হয় সে বিষয়ে সচেতন হতে হবে।
সকলকে আরও দায়িত্বশীল হওয়ার পরামর্শ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ডিজিটাল যুগের সাথে সমন্বয় করে সরকারি কাজ আরও গতিশীল করতে হবে। দুর্নীতির কারণে আমাদের উন্নয়নটা যেনো কোনো মতেই ক্ষতি না হয়, সে বিষয়টা ভালোভাবে দেখতে হবে। আপনাদের নির্দেশনা দিতে হবে একেবারে নিম্নস্তর পর্যন্ত। যারা কাজ করে তাদেরও এ ব্যাপারে সচেতন করতে হবে যে এটা কখনোই আমরা বরদাস্ত করবো না।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর ভগ্নস্তূপে পরিণত দেশটাকে নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও অর্থনীতিকে গতিশীল রেখে এগিয়ে নিয়ে গেছেন জাতির পিতা বঙ্গব্ন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী চক্র সব সময়ই সক্রিয় ছিল। একইভাবে আমরাও তাদের চক্রান্তকে প্রতিহত করে এগিয়ে চলেছি, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনা নিয়ে।
২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনের ঘোষণা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেইসঙ্গে জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও ২০২১ সালকে আমরা মুজিব বর্ষ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছি।
ক্ষুধা দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে একটা ভিক্ষুকও থাকবে না। একটা মানুষ গৃহহারা থাকবে না। একটা মানুষ না খেয়ে কষ্ট পাবে না।
অন্তত মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো আওয়ামী লীগ সরকার পূরণ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা বলেন, তাদের জীবনের ন্যূনতম চাহিদা, সেটা যেনো আমরা পূরণ করতে পারি, সে লক্ষ্যকে সামনে রেখে সমস্ত পরিকল্পনা, সমস্ত কাজ করতে হবে।
তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্রামীণ উন্নয়ন ও গ্রামে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে। মানুষ যেনো কাজ খুঁজতে শহরে না আসে, সেভাবে পদক্ষেপ নিতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, পরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন করতে হবে। যত্রতত্র উন্নয়ন আর যেনো না হয়। অপরিকল্পিত উন্নয়ন হলে জমি নষ্ট হবে এবং তাদের নাগরিক সুবিধা দেওয়া কঠিন হয়ে যাবে।
গত অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ পারফরম্যান্সকারী মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরগুলোকে পুরস্কৃত করা হয় অনুষ্ঠানে। বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ আলম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব মো. নজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব আহমেদ কায়কাউস। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম।