শেখ হাসিনার উপর হামলায় বিএনপির ৯ জনের ফাঁসি!
প্রকাশিত হয়েছে : ৮:৩২:৫৯,অপরাহ্ন ০৩ জুলাই ২০১৯ | সংবাদটি ৬৯০ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: পাবনার ঈশ্বরদীতে ১৯৯৪ সালে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ট্রেনবহরে গুলিবর্ষণের মামলায় বিএনপির ৯ নেতাকর্মীর ফাঁসি, ২৫ জনকে যাবজ্জীবন এবং ১৩ জনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এই মামলার অপর আসামিদের মধ্যে ১৫ জন পলাতক রয়েছেন বাকি ৫ জন মারা গেছেন।
বুধবার (৩ জুলাই) পাবনার স্পেশাল ট্রাইবুনালের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-১ আদালতের বিচারক রুস্তম আলী এই রায় দেন। এসময় ওই মামলার অভিযুক্তদের ৩২ জন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এই মামলার প্রধান আসামি ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টু এবং অন্যতম আসামি পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও ঈশ্বরদী পৌরসভার সাবেক মেয়র মকলেছুর রহমান বাবলু, বিএনপি নেতা হুমায়ুন কবীর দুলাল পলাতক রয়েছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর উত্তরাঞ্চলে দলীয় কর্মসূচিতে ট্রেনে করে খুলনা থেকে সৈয়দপুর যাচ্ছিলেন। ট্রেনটি পাবনার ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশনে প্রবেশের সময় শেখ হাসিনার ট্রেনবহরকে লক্ষ্য করে স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা অতর্কিত গুলি, বোমাবর্ষণ ও হামলা চালান। এ সময় পুলিশ স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে গেলে তাঁরা পুলিশকে লক্ষ্য করেও বোমা নিক্ষেপ করেন। বোমার আঘাতে দায়িত্বে নিয়োজিত তৎকালীন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন ও পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হন। এ ঘটনায় ঈশ্বরদী রেলওয়ে পুলিশ বাদী হয়ে ওই দিন বিএনপির নেতা-কর্মীদের নামে মামলা করেন। পরে মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়।
তদন্ত শেষে এই মামলায় ৫২ জনকে আসামি করে আদালতে চূড়ান্ত অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। দীর্ঘ ২৪ বছর ৯ মাস ৯ দিন পর আগামী বুধবার এ মামলার রায় হতে যাচ্ছে। গতকাল রোববার দুপুরে এ মামলার ৩০ জন আসামি আদালতে হাজির হলে বিচারক রুস্তম আলী তাঁদের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠান। মামলার মোট আসামির মধ্যে ৫ জন বিভিন্ন সময় মারা গেছেন। বাকি আসামিরা গতকাল আদালতে হাজির না হওয়ায় তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।