প্রধানমন্ত্রীকে দেশে আনতে যাওয়া বিমানসহ পাইলট কাতারে আটক!
প্রকাশিত হয়েছে : ৫:০৫:০৯,অপরাহ্ন ০৬ জুন ২০১৯ | সংবাদটি ৮৪৭ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: ফিনল্যান্ড সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে আনতে যাওয়া বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জ্যেষ্ঠ পাইলট ক্যাপ্টেন ফজলে মাহমুদকে কাতারের দোহা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটক করা হয়েছে। বুধবার (০৫ জুন) দিবাগত রাতে তাকে আটক করা হয়। বিমানটিও বর্তমানে কাতার অবস্থান করছে।
অপর ফ্লাইটে তার পাসপোর্ট পাঠানোর ব্যবস্থা করে তাকে দেশে আনার চেষ্টা চলছে বলে জানাগেছে।
বিদেশ সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনতে বুধবার রাতে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বোয়িং ৭৮৭ মডেলের একটি ড্রিমলাইনার দোহা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যায়। বিশেষ এই বিমানের পাইলট ছিলেন ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ। তিনি পাসপোর্ট ছাড়াই কাতার যান, যেটি ধরা পড়ে সে দেশের ইমিগ্রেশনে। পরে তাকে ইমিগ্রেশনে আটকে রাখা হয়।
আইন অনুযায়ী, পাসপোর্ট ছাড়া কারো দেশত্যাগ কিংবা অন্য দেশে প্রবেশের সুযোগ নেই। ফজল মাহমুদ কাতার ইমিগ্রেশনকে জানান, তার পাসপোর্ট বিমানের ফ্লাইট অপারেশন রুমের লকারে। পরে বিমানের নিরাপত্তা মহাব্যবস্থাপকের কাছ থেকে চাবি নিয়ে ফজল মাহমুদের পাসপোর্ট উদ্ধার করেন বিমানের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ মহাব্যবস্থাপক।
বৃহস্পতিবার কাতার এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ফজল মাহমুদের পাসপোর্ট দোহা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পাঠানোর চেষ্টা করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। কিন্তু কাতার এয়ারলাইন্স পাসপোর্ট বহনে অস্বীকৃতি জানায়। কাতার এয়ারলাইন্স জানায়, স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়া কারো পাসপোর্ট্ বহনের নিয়ম নেই।
পরে রিজেন্ট এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে করে ফজল মাহমুদের পাসপোর্ট কাতার পাঠানোর উদ্যোগ নেয়া হয়। তবে, রিজেন্ট এয়ারলাইন্সও ওই পাসপোর্ট বহনে অস্বীকৃতি জানায়।
আইন অনুযায়ী পাসপোর্ট ছাড়া দেশত্যাগ ও অন্য দেশে প্রবেশের সুযোগ নেই। এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় জানায়, বিষয়টি ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদের ব্যক্তিগত গাফিলতি। তিনি দেশে ফিরে আসার পর আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পাসপোর্ট ছাড়া একজন পাইলট কীভাবে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দেশের ইমিগ্রেশন পার হয়ে বিদেশ গেলেন, সেটি নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
এর আগে পাসপোর্ট ছাড়া লন্ডন যাওয়ায় বিমানের একজন পাইলটকে বড় অংকের আর্থিক জরিমানা গুনতে হয়েছে।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চার দেশে সরকারি সফরের অংশ হিসেবে বর্তমানে ফিনল্যান্ডে অবস্থান করছেন। ৮ই জুন দোহা বিমানবন্দর হয়ে তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে। তাকে বহন করতে বোয়িং ৭৮৭ মডেলের ড্রিমলাইনার বর্তমানে কাতার অবস্থান করছে।