সিলেটে টাকার বিনিময়ে বিদেশগামীদের করোনা সনদ দিতেন শাহ আলম!
প্রকাশিত হয়েছে : ৫:০৫:৫৬,অপরাহ্ন ১৯ জুলাই ২০২০ | সংবাদটি ১৫৮৯ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: টাকার বিনিময়ে করোনা রিপোর্ট প্রদানের অপরাধে রাজধানী ঢাকার পর পুন্যভূমি সিলেট থেকে এবার গ্রেফতার হলেন এক চিকিৎসক। তবে গ্রেফতার হওয়া এ চিকিৎসক অন্যদের চেয়ে আরও ভয়ঙ্কর। তিনি নিজে করোনা আক্রান্ত হয়েও নিয়মিত চেম্বার করে সাধারণ রোগীদের দিতেন করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট।
ভয়ঙ্কর এ চিকিৎসক নগরীর মধুশহীদ এলাকার মেডিনোভা মেডিকেল সার্ভিসেস লিমিটেডের এএইচএম শাহ আলম।
রবিবার (১৯ জুলাই) সন্ধ্যায় র্যাব-৯ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।
সিলেট জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে র্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে সাথে সাথে তাকে একলাখ টাকা জরিমানা ও ৪ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করে।
ডা. এ এইচ এম শাহ আলম রোগী দেখতেন মেডিনোভা মেডিকেল সার্ভিসেসের নীচ তলায়।
অভিযানের নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুনন্দা রায়।
অভিযান শেষে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ডা. আলমকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তিনি তার অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন। পরে তাকে ৪ মাসের কারাদণ্ড, ১লাখ টাকা জরিমানা করার পাশাপাশি অনাদায়ে আরও ১ মাসের জেল দেয়া হয়। তার সব অনিয়মের প্রমাণ আমাদের কাছে রয়েছে।
সিলেট র্যাব-৯ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সামিউল আলম জানান, ডা. আলম বিদেশযাত্রীসহ কয়েকজনকে টাকার বিনিময়ে করোনার ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়েছেন বলে স্বীকার করেন। পরে তাকে নিয়ে তার চেম্বার মেডিনোভা মেডিকেল সার্ভিসেস লিমিটেডে অভিযান চালানো হয়।
এছাড়া তিনি ওসমানী মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিতেন। যদিও তিনি কোনো সরকারি হাসপাতালে চাকরি করতেন না। এছাড়া তিনি নিজে গত ১৪ জুলাই করোনা আক্রান্ত হন। এই তথ্য গোপন রেখেই তিনি চেম্বারে রোগী দেখে যাচ্ছেন।
জানা গেছে, ডা. এ এইচ এম শাহ আলম নগরীর মধুশহীদ এলাকায় মেডিনোভা মেডিকেল সার্ভিসেস লিমিটেডের নিচতলায় চেম্বার করেন। বিদেশযাত্রীদের জন্য বিভিন্ন দেশ ও এয়ারলাইন্স করোনা নেগেটিভ সার্টিফেকেট বাধ্যতামূলক করার পর প্রবাসীদের টার্গেট করেন ডা. শাহ আলম। ‘করোনা নেগেটিভ’ সার্টিফিকেট দেয়ার কথা বলে বিদেশযাত্রীদের কাছ থেকে তিনি চার হাজার টাকা করে আদায় করেন। ফ্লাইটের ৪৮ ঘন্টা আগে তিনি ওই প্রবাসীকে ডেকে নিয়ে হাতে ধরিয়ে দেন প্রত্যয়নপত্র। রোগী বা যাত্রীকে না দেখেই নিজের প্যাডে দেয়া ওই প্রত্যয়নপত্রে ডা. শাহ আলম লিখে দেন, তিনি ওই ব্যক্তিকে তার চেম্বারে দেখেছেন। তার মধ্যে কোভিড-১৯ এর কোন লক্ষণ নেই।