চুরির অপরাধে দুই শিশুকে হাত বেঁধে অমানুষিক নির্যাতন!
প্রকাশিত হয়েছে : ৬:১৩:৫৩,অপরাহ্ন ১০ জুলাই ২০২০ | সংবাদটি ৬৮৬ বার পঠিত
কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) সংবাদদাতা:: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে মোবাইল চুরির অপরাধে দুই শিশুকে অমানুষিক নির্যাতন করেছে চা বাগান পঞ্চায়ত সভাপতি। স্থানীয় ইউপি সদসে্যর উপস্থিতিতে প্রায় ৮ ঘন্টা খোলা আকাশের নীচে খুঁটির সাথে হাত বেঁধে নির্যাতনের পর অভিভাবকদের কাছ থেকে মুছলেকা নিয়ে তাদের মুক্তি দেয়া হয়। পরে তাদের কমলগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
শুক্রবার (১০ জুন) উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের কুরমা চা বাগানে এ অমানবিক নির্যাতনের ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও নির্যাতিতদের পরিবার অভিযোগ করে বলেন, মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে চা বাগান হাসপাতালের কম্পাউন্ডার মামুন ছেলে তুলে মুন্না পাশি (১২) ও জগৎ নুনিয়া (১৩) নামে দুই শিশুকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে খুঁটির সাথে বেঁধে অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে।
পরে চা বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি নারদ পাশি সহ কয়েকজন মিলে বাগান ঘরে নিয়ে বেধড়ক পিঠানো হয়। পরে তাদের ২ জনকে কুরমা চা বাগান ফ্যাক্টরির সামনে খুঁটির সাথে সকাল ৭টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত খোলা আকাশের নিচে হাত পিছনে নিয়ে বেঁধে রাখে।
শিশু মুন্নার মা জানান, ইউপি সদস্য দীপেন সাহা সামনে থেকে তাদের পিটিয়েছেন। সাথে ছিল চা বাগান পঞ্চায়েতের সভাপতি নারদ পাশি, সাদেকসহ অনেকে। ছেলেদের অভিবাবকদের কাছ থেকে মুছলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। তাদের অবস্থার অবনতি হলে বিকাল ৪টায় মুন্না ও জগৎকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। নির্যাতিত মুন্নার মা আরো জানান, এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের করবেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য দীপেন সাহা বলেন, ছেলেদের বেঁধে রাখা হয়েছিল। তবে নির্যাতন করা হয়নি, কয়েকটি চড়-থাপ্পড় দেয়া হয়েছে। ম্যানেজারের কথায় তিনি প্রথমে ছাড়তে পারেননি। পরে বিকাল ৩টার পর অভিবাবকদের কাছ থেকে মুছলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান জানান, মোবাইল চুরির জন্য তাদের আটকানো হয়েছিল, তবে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।