সাহেদ র্যাবের নজরদারিতে, যে কোন সময় গ্রেফতার!
প্রকাশিত হয়েছে : ৩:১৭:৩৩,অপরাহ্ন ১০ জুলাই ২০২০ | সংবাদটি ৭৫২ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমকে গ্রেফতার করতে একাধিক টিম কাজ করছে বলে জানিয়েছে র্যাব। যেকোনো সময় তাকে গ্রেফতার করা হবে।
শুক্রবার (১০ জুলাই) বিকেলে র্যাবের মুখপাত্র ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আসিক বিল্লাহ গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, সাহেদকে ধরতে র্যাবের সব ধরনের অভিযান অব্যাহত আছে। তাকে ধরতে র্যাবের পেশাদারিত্ব এবং দায়িত্ববোধের চাপ আছে। সেই চাপ থেকেই আমরা তাকে ধরতে অভিযান চালাচ্ছি। ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে র্যাবের বেশ কয়েকটি টিম কাজ করছে। এছাড়া সীমান্ত এলাকায় র্যাবের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।’
এর আগে, (৯ জুলাই) সকালে রাজধানীর নাখালপাড়া এলাকা থেকে সাহেদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী তারিক শিবলীকে গ্রেফতার করা হয়। র্যাব জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদেই তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। শুক্রবার তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
এর আগে, বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম-প্রতারণার অভিযোগে সোমবার (৬ জুলাই) রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর ও উত্তরা শাখায় অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানে হাসপাতাল থেকে আট জন কর্মকর্তাকে আটক করা হয়। পরদিন এই আট জন ও সাহেদসহ মোট ১৭ জনের নামে মামলা করে র্যাব। মামলায় গ্রেফতার সবাইকেই রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। সাহেদসহ বাকিদের ধরতে অভিযান চলছে।
র্যাব সূত্রে জানা গেছে, সাহেদ কোথায় গা ঢাকা দিয়েছেন, তা জানতে র্যাবের গোয়ন্দা টিম কাজ করছে।
এর আগে, করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা ও চিকিৎসা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ উঠতে থাকে রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে। সারাবাংলার অনুসন্ধানে জানা যায়, হাসপাতালের দুই শাখার লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়েছে অনেক আগেই। এসব অভিযোগে সোমবার (৬ জুলাই) বিকেলে হাসপাতালটিতে অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানে বিভিন্ন অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়। এসময় আটক করা হয় আট জনকে।
র্যাবের অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (৭ জুলাই) রিজেন্ট হাসপাতালের দু’টি শাখাই বন্ধ করে দেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর। মার্চে হাসপাতালটি কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসা দিতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি করলেও হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ করে দিলে সে চুক্তিও স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যায়।