লকডাউন ভেঙ্গে জুয়া, পুলিশে বলায় শিক্ষার্থী খুন!
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:৪৬:০৪,অপরাহ্ন ১৬ এপ্রিল ২০২০ | সংবাদটি ৫০৬ বার পঠিত
বরগুনা থেকে সংবাদদাতা:: লকডাউনের সময় সংঘবদ্ধভাবে জুয়া খেলার খবর পুলিশকে দেয়ার জেরে বরগুনায় সংঘর্ষে এক কলেজ ছাত্র নিহত হয়েছেন। এঘটনায় আরো ১৫ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার (১৫ এপ্রিল) সন্ধ্যার দিকে সদর উপজেলার কদমতলা গ্রামে এ সংঘর্ষ হয়।
এ ঘটনায় নিহত সাইফুল ইসলাম সবুজ (২২) ঢলুয়া ইউনিয়নের রায়ভোগ কদমতলা গ্রামের ফারুক পহলানের ছেলে। তিনি ঢাকার একটি বেসরকারি কলেজে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র। করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিনে দিন কয়েক আগেই বাড়ি ফেরেন তিনি।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ইউপি নির্বাচনের পর থেকেই নির্বাচিত ইউপি সদস্য রাজুর লোকজনের সাথে সাবেক ইউপি সদস্য স্বপন খানের বিরোধ চলে আসছিল। এর মধ্যে বুধবার দুপুরে পশ্চিম রায়ভোগ গ্রামের অতুল হাওলাদারের বাড়ির পুকুর পাড়ে জুয়ার আসর বসায় স্বপন খানের লোকজন।
স্থানীয় গ্রাম পুলিশ সদস্য আবদুস সালাম এ বিষয়ে বরগুনা থানা পুলিশকে জানালে তারা অভিযানে যায়। বরগুনা থানার এসআই হেলালের নেতৃত্বে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে রাজা পহলান (৩২), বাসুদেব (৩৭),হাবিল (২২) ও মামুন মোল্লা (২৪) নামের চারজনকে আটক করে।
বিকেলেই তাদের বরগুনা বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুমা আক্তারের ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হয়। করোনায় ঘরে থাকার নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আড্ডা দেবার অভিযোগে ইউএনও তাদেরকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করেন এবং মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেন।
পরে সন্ধ্যায় পুলিশে খবর দেয়ার অভিযোগ তুলে স্বপন খানের প্রায় ২০/২৫ জন সমর্থক সংঘবদ্ধ হয়ে লাঠিসোটা নিয়ে রায়ভোগ বাজারে ইউপি সদস্য রাজুর সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। প্রথম দফায় পিছু হটলেও পরে রাজুর সমর্থকরাও সংঘবদ্ধ হয়ে পাল্টা হামলা চালালে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এসময় উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আহতদের উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপতালে নিয়ে যায়। পথেই মৃত্যুবরণ করেন সাইফুল ইসলাম সবুজ।
এ সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবির মোহাম্মদ হোসেন জানান, উভয় পক্ষের সংঘর্ষে আরো ১৫ জন আহত হয়েছে। যাদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা গুরুতর।
গুরুতর তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপতালে পাঠানো হয়েছে। আর বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন সাতজন।
এ ঘটনায় মামলার প্রস্ততি চলছে বলেও জানিয়েছেন ওসি আবির মোহাম্মদ হোসেন।