বাংলাদেশকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ৮ নির্দেশনা
প্রকাশিত হয়েছে : ৪:৫৮:৫৩,অপরাহ্ন ০৯ এপ্রিল ২০২০ | সংবাদটি ৫৯৪ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশকে ৮টি করণীয় নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা । ৭ এপ্রিল এ নির্দেশনা দেয় সংস্থাটি নির্দেশনার সংক্ষিপ্ত কোড ‘রেসপন্স’ উল্লেখ করেছে তারা।
এই কোডের প্রতিটি অক্ষরে একটি করে নির্দেশনা হয়েছে। প্রথমত আর : রেডি হিউম্যান রিসোর্সেস (মানবসম্পদ প্রস্তুতকরণ), ই : এক্সপান্ড ল্যাবরেটরি টেস্টিং (ল্যাব পরীক্ষার সম্প্রসারণ), এস : সাসটেইন রোবাস্ট সার্ভিলেন্স (টেকসই পর্যবেক্ষণ নিশ্চিত করা), পি : প্রায়োরেটাইজ কেস ম্যানেজমেন্ট (রোগী ব্যবস্থাপনায় অগ্রাধিকার), ও : অরগানাইজ হেল্থ ফ্যাসিলিটিজ (স্বাস্থ্য সুবিধাদি সংগঠিত করা), এন : নেটওয়ার্ক অ্যান্ড কো-অর্ডিনেট, এস : সিকিউর ফান্ডিং অ্যান্ড সাপ্লাইজ (অর্থায়ন ও সরবরাহ নিশ্চিত করা) এবং ই : এনসিওর ইনফেকশন কন্ট্রোল (সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করা)।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ধারাবাহিক সমালোচনা আর হুমকির জবাবে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান। সেই সঙ্গে তিনি করোনার মহামারীর সঙ্গে রাজনীতিকে না জড়ানোরও আহ্বান জানান।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহা পরিচালক তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস বলেন, ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে। সেটা হতে হবে আন্তরিকভাবে। আর সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র আর চীনের নেতৃত্বকেও আন্তরিক হতে হবে। সবচেয়ে বেশি ক্ষমতাধর যারা তাদেরই তো পথ দেখাতে হবে। আর দয়া করে কোভিড রাজনীতিকে কোয়ারেন্টিনে রাখুন।
এদিকে এর মাত্র একদিন আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কড়া সমালোচনা করে ট্রাম্প বলেছিলেন, প্রতিষ্ঠানটি ‘অনেক বেশি চীন ঘেঁষা’।
এসময় বিশ্ব সংস্থাকে তহবিল যোগানো বন্ধ করারও হুমকি দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।
ট্রাম্পের ওই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে ড. গেব্রিয়েসুস বলেন, ‘আমরা প্রতিটি দেশের সঙ্গেই কাজ করি। আমরা কালার ব্লাইন্ড।’
প্রসঙ্গত, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস ২০৯টি দেশে আক্রান্ত হয়েছে ১৫ লাখ ১৮ হাজার ২৩ জন মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ৮৮ হাজার ৪৫৭ জনের। তবে এখন পর্যন্ত প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে সেরে উঠেছে ৩ লাখ ১৯ হাজার ২৯২ জন।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লাখ ছাড়িয়েছে (৪,২৫,৭৬৯)। আক্রান্তের দিক দিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে স্পেন। দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৪৮ হাজার ২২০ জন। ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪২২ জন আক্রান্ত হয়েছে ইতালিতে। ফ্রান্সে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ১২ হাজার ৯৫০ জন। ১ লাখ ১২ হাজার ১১৩ জন আক্রান্ত হয়েছে জার্মানিতে।
এ ছাড়া চীনে ৮১ হাজার ৮০২ জন, ইরানে ৬৪ হাজার ৫৮৬ জন, যুক্তরাজ্যে ৬০ হাজার ৭৩৩ জন, তুরস্কে ৩৮ হাজার ২২৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন।