করোনার ‘ভ্যাকসিন’ গ্রহণের ১৮ মাস পর মিলবে চূড়ান্ত ফল!
প্রকাশিত হয়েছে : ৩:২০:৪৯,অপরাহ্ন ১৭ মার্চ ২০২০ | সংবাদটি ৫৯৮ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: ভয়াবহ করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কার করতে মরিয়া উন্নত বিশ্বের গবেষকেরা। কোটি কোটি ডলার ব্যয় করা হচ্ছে এর পেছনে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন করোনার প্রতিষেধক প্রস্তুত করেছে।
সোমবার (১৬ মার্চ) সিয়াটলে ওয়াশিংটন হেলথ রিসার্চ ইনস্টিটিউটে করোনাভাইরাসের একটি ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
ভ্যাকসিনটি তৈরি করেছে যৌথভাবে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট এবং মডার্নার নামে একটি জৈবপ্রযুক্তি কোম্পানি।
নভেল করোনাভাইরাসে বিশ্বব্যাপী মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ১৫৪ জনে। বিশ্বের দেড় শতাধিক দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৮২ হাজার। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে গেছেন প্রায় ৮০ হাজার।
মৃত ও আক্রান্তদের বড় অংশ চীনের হুবেই প্রদেশের বাসিন্দা। অঞ্চলটির রাজধানী উহান থেকে ডিসেম্বরের শেষে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে। কভিড-১৯ নাম পাওয়া ভাইরাসটির কোনো প্রতিষেধক নেই।
পৃথিবীর অনেক দেশ গবেষণা চালিয়ে এখনো কোনো প্রতিষেধক বের করতে পারেনি। এমন পরিস্থিতিতে ভ্যাকসিনের প্রথম প্রায়োগিক চালাল যুক্তরাষ্ট্র।
সিয়াটলে বসবাসকারী দুই সন্তানের মা জেনিফার হলার (৪৩) প্রথম এই ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন। তার মতো আরও ৫৫ জন এই পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন। ঝুঁকিমুক্তভাবে এই পরীক্ষা সম্পন্ন হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন চিকিৎসকেরা।
তবে চূড়ান্ত ফল পেতে ১২ থেকে ১৮ মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এরপরই বোঝা যাবে এটি কতো কার্যকর এবং নিরাপদ। এমনটা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের বিশেষজ্ঞরা।
স্বেচ্ছাসেবীদের প্রত্যেককে দুই ডোজ ভ্যাকসিন দেয়া হবে। দ্বিতীয় ডোজটি দেয়া হবে প্রথমটির একমাস পর। তাদের কাউকে কাউকে বেশি ডোজের ভ্যাকসিন দেয়া হবে। মূলত কার্যকর ডোজ নির্ধারণের উদ্দেশ্যেই ডোজের কমবেশি করা হবে।
তবে আদৌ এই ভ্যাকসিন করোনামুক্ত করবে কীনা, সেটি নিশ্চিত হওয়া যাবে পুরো প্রক্রিয়া শেষে। এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না, কী ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করবে এই ওষুধ।