ফের আলোচনায় সেই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট!
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:১৩:৪২,অপরাহ্ন ১১ মার্চ ২০২০ | সংবাদটি ২২৮৪ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম ফের আলোচনায় ওঠে এসছেন।
গত বছর আড়ং এ অভিযানের মধ্য দিয়ে তিনি আলোচনায় আসেন। এর পর ক্যাসিনো অভিযানে দেশ-বিদেশে ফের আলোচনায় ওঠেন সরোয়ার আলম।
আর এবার তিনি আলোচনায় ওঠেছেন ভ্রাম্যমান আদালতে তাঁর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা নিয়ে।
ইতোমধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার ক্ষমতা (ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা) বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদনও করা হয়েছে।
র্যাবের ম্যাজিস্টেট সরোয়ার আলমের সাথে আবেদনে অভিযুক্ত রয়েছেন আরো দুই ম্যাজিস্ট্রেটও। তারা হচ্ছেন- নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামান ও নিজাম উদ্দিন।
বুধবার (১১ মার্চ) ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ এনে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এই আবেদন করা হয়।
চিলড্রেন’স চ্যারিটি বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের (সিসিবি ফাউন্ডেশন) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম ও সংস্থাটির পরিচালক অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান এই আবেদন করেন।
অভিযোগ হিসেবে দেখানো হয়েছে, একই সাক্ষীরা বার বার বিভিন্ন জায়গায় এসেছে, একই সময়ের মধ্যে দুই জায়গায় (শিশুমেলা ও ফার্মগেট) মোবাইল কোর্ট পরিচালনার অভিযোগ, যা ক্ষমতার অপব্যবহার, এক ধারার অপরাধ দেখিয়ে ভিন্ন ধারায় চার্জ গঠন এবং চলন্ত ভ্যান থেকে কলা চুরির অপরাধে ছয় মাসের সাজা যা মোবাইল কোর্ট দিতে পারে না।
দণ্ডবিধির ৮৩ ধারা অনুযায়ী, ১২ বছরের নিচের শিশুদের সাজা দেওয়া যায় না। তবুও ৯, ১০ ও ১১ বছর বয়সী শিশুদের সাজা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া জোর করে শিশুদের স্বীকারোক্তি আদায়ের নজির রয়েছে, যা সংবিধানের ৩৩ ও ৩৫ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন। এছাড়া জোর করে শিশুদের স্বীকারোক্তি আদায় সংবিধানের ৩৩ ও ৩৫ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন।
২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দণ্ডিত হয়ে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে থাকা ১২ বছরের কম বয়সীদের মুক্তির নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। শিশু আদালত ছাড়া অন্যান্য আদালতের অধীনে সাজাপ্রাপ্ত ১২ বছর থেকে ১৮ বছর পর্যন্ত বয়সী শিশুদের ছয় মাসের জামিন দেয়া হয়। হাইকোর্ট তার আদেশে ভ্রাম্যমাণ আদালত কর্তৃক শিশুদের দণ্ড দেওয়াকে অসাংবিধানিক, অবৈধ এবং বাতিল বলে ঘোষণা করেন।
এদিকে, ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে শিশুদের সাজা দেয়া অবৈধ বলে বুধবার (১১ মার্চ) রায় দেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার। অপরদিকে শিশুদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম।