উত্তাল দিল্লিতে বাড়ছে নিহতের সংখ্যা
প্রকাশিত হয়েছে : ২:৪৬:৪৯,অপরাহ্ন ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | সংবাদটি ২৬৪ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে ভারতের রাজধানী দিল্লি।
মঙ্গলবারও (২৫ ফেব্রুযারি) দিনভর ঘটেছে সহিংসতার ঘটনা। এতে মৃতের সংখ্যা ১০ জনের দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে এক পুলিশ কর্মকর্তাও রয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকেই।
সিএএ নিয়ে গত তিন দিন ধরেই ব্যাপক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে দিল্লিতে। মঙ্গলবার সকালে মৌজপুর এবং ব্রহ্মপুরীতে আবার দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। পরস্পরকে লক্ষ্য করে শুরু হয় পাথরবৃষ্টি। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেলও। দুপুরে গুলিও চলে সেখানে। এদিন মৌজপুরে একটি ই-রিকশায় ভাঙচুরও চালানো হয়। রিকশার যাত্রীদের মূল্যবান জিনিসপত্রও লুট করে দুষ্কৃতিরা। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ।
মৌজপুর এবং ব্রহ্মপুরীর মতো একই পরিস্থিতি কারওয়াল নগরে। ভোররাতে সেখানে একটি টায়ার কারখানায় বিক্ষোভকারীরা আগুন ধরিয়ে দেয় বলে জানা গিয়েছে। আগুন ধরানো হয় বেশ কিছু গাড়িতেও। তবে পুলিশি নিরাপত্তা না পাওয়ায় এখনো পর্যন্ত সেখানে গিয়ে পৌঁছায়নি দমকলবাহিনী। উত্তর-পূর্ব দিল্লির দমকল বিভাগের ডিরেক্টরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সোমবার থেকে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত দিল্লির নানা প্রান্ত থেকে তাদের কাছে ৪৫ বার ফোন এসেছে। বিক্ষোভকারীদের হাতে তাদের তিন কর্মী আহত হয়েছেন। একটি গাড়িও জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই পরিস্থিতি বুঝে পদক্ষেপ করছেন তারা।
গোটা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দিল্লি পুলিশও। তাদের পক্ষে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়েছে, ‘পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে হিংসা অব্যাহত বলে ফোনে লাগাতার অভিযোগ পাচ্ছি আমরা।’ সিএএ সমর্থক ও বিরোধীদের মধ্যে সংঘর্ষ চরম আকার ধারণ করায় সোমবারই রাজধানীর একাধিক মেট্রো স্টেশন বন্ধ রাখা হয়। মঙ্গলবারও জাফরাবাদ, মৌজপুর-বাবরপুর, গোকুলপুরী, জোহরি এনক্লেভ এবং শিব বিহার মেট্রো স্টেশন বন্ধ রাখা হয়েছে। ওই সমস্ত স্টেশনে বন্ধ রাখা হয়েছে মেট্রো চলাচলও। উত্তর-পূর্ব দিল্লির সমস্ত সরকারি এবং বেসরকারি স্কুলও বন্ধ রাখা হয়েছে। একাধিক জায়গায় জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা।
দিল্লির পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার রাতেই দিল্লি পুলিশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই মুহূর্তে দিল্লিতে রয়েছেন। তাই যত শিগগির সম্ভব পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার দুপুরেও অরবিন্দ কেজরিওয়াল, অনিল বৈজল এবং অন্য রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন অমিত শাহ।