আবরার হত্যা: পিতার আবেদনে ফের পেছালো শুনানি
প্রকাশিত হয়েছে : ৮:১৪:২৭,অপরাহ্ন ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | সংবাদটি ৩৪৪ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার বিচারের জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের গেজেট প্রকাশিত না হওয়ায় তার পিতার আবেদনে আবারও পেছালো অভিযোগ গঠনের শুনানি। এ মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১৮ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ নতুন এই তারিখ নির্ধারণ করেন। আদালতের সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সোমবার আবরারের বাবা আদালতে হাজির হয়ে অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছানোর জন্য আবেদন করে বলেন, ‘মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে নেওয়ার জন্য আমরা একটি আবেদন করবো। তাই অভিযোগ গঠন শুনানি পেছানো হোক।’ এরপর আদালত আবেদন মঞ্জুর করে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১৮ মার্চ দিন ধার্য করেন।
এর আগেও ৩০ জানুয়ারি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের গেজেট না হওয়ায় বিচারক অভিযোগ গঠন শুনানি পিছিয়ে ১৭ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছিলেন।
এদিন কারাগারে থেকে আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়।
১৩ জানুয়ারি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলির আদেশ দেন।
এর আগে গত ১৩ নভেম্বর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
অভিযোগ পত্রে থাকা ২৫ জনের মধ্যে এজাহারভুক্ত ১৯ জন এবং এর বাইরে তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আরও ৬ জনের জড়িত থাকার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়। এজাহারভুক্ত ১৯ জনের মধ্যে ১৭ জন এবং এজাহারের বাইরে থাকা ৬ জনের মধ্যে ৫ জনসহ মোট ২২ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।পলাতক রয়েছেন ৩ জন।অভিযোগপত্রে ৬০ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে এবং ২১টি আলামত ও ৮টি জব্দতালিকা আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে।
এজাহারে থাকা আসামিরা হলো— মেহেদী হাসান রাসেল, অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল,মেহেদী হাসান রবিন, মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মুজাহিদুর রহমান, মুহতাসিম ফুয়াদ, মনিরুজ্জামান মনির, আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুল ইসলাম, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা, এএসএম নাজমুস সাদাত, মোর্শেদুজ্জামান জিসান ও এহতেশামুল রাব্বি তানিম।
এজাহারবহির্ভূত ছয় জন হলো— ইশতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, অমিত সাহা, মিজানুর রহমান ওরফে মিজান,শামসুল আরেফিন রাফাত, এসএম মাহমুদ সেতু ও মোস্তবা রাফিদ।
পলাতক তিন আসামি হলো— মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মোস্তবা রাফিদ। এদের মধ্যে প্রথম দুই জন এজাহারভুক্ত আসামি।
প্রসঙ্গত,গত বছরের গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরে বাংলা হলে আবরারকে তার কক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। তারা ২০১১ নম্বর কক্ষে নিয়ে গিয়ে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করে। পরে রাত তিনটার দিকে হলের সিঁড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় গত ৭ অক্টোবর রাজধানীর চকবাজার থানায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। পুলিশ পরে ২২ জনকে গ্রেফতার করে। এর মধ্যে আট জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এদের সবাই বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।
আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন।