পূজার আয়-ব্যায় হিসাব নিয়ে ছাত্রলীগকর্মী খুন!
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:১৪:৩০,অপরাহ্ন ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | সংবাদটি ৫৬৭ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: সিলেটে সদ্য সমাপ্ত হিন্দু ধর্মালম্বীদের সরস্বতী পূজার আয়-ব্যায়ের হিসাব নিয়েই নিজ দলের কর্মীরদের হাতেই খুন হন ছাত্রলীগ কর্মী অভিষেক দে দীপ (১৮)।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১ টার দিকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় দ্বীপের মৃত্যু হয়।
এরপূর্বে রাত সাড়ে ৯টায় সিলেট নগরীর টিলাগড় এলাকায় আরেক ছাত্রলীগ কর্মী সৈকতের নেতৃত্বে ৩-৪জন যুবক দ্বীপ ও তার সাথে থাকা সহকর্মী শুভর উপর হামলা চালায়। এসময় দ্বীপকে ছুরিকাঘাত করে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে যায় তারা। আশংকাজনক অবস্থায় সিলেট এমএজি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎোধিন অবস্থায় দ্বীপের মৃত্যু হয়।
দ্বীপ নগরীর শিবগঞ্জ সাদীপুর এলাকার দীপক দে’র পুত্র ও গ্রীণহিল স্টেট কলেজের শিক্ষার্খী।
এছাড়া, দ্বীপ সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রনজিত সরকারের অনুসারী ছাত্রলীগ কর্মী।
পুলিশ ও স্থানীয় জানা গেছে, গত কয়েকদিন আগে সরস্বতি পূজার সময় গোপালটিলায় একই সংঘের সাথে পূজা উদযাপন করে দ্বীপ ও সৈকত। কিন্তু পূজার পরে আয়-ব্যয়ের হিসাব নিয়ে সৃষ্টি হয় দ্বন্দ্ব। পরে আয়-ব্যয়ের হিসাব থেকে সৃষ্ট এ দ্বন্দ্ব গড়ায় সিনিয়র-জুনিয়রে। গত কয়েকদিন ধরে তাদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে কয়েক দফা ঝামেলা হয়েছে।
এরই সুত্র ধরে বৃহস্পতিবার রাতে মারামারিতে জড়ায় দু’পক্ষ। এসময় সৈকত ও তার সাথে থাকা কয়েকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে দ্বীপ ও শুভর উপর হামলা চালায়। গুরুতর আহত অবস্থায় দ্বীপকে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা তাক মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার রাতেই এ হামলায় নেতৃত্বদানকারী সৈকত রায় নামের ঐ ছাত্রলীগ কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। সৈকত নিজেও আহত অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ব্যপারে শাহপরাণ থানার ওসি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, পূজার টাকা নিয়ে বিবাদে দুই পক্ষ একে অপরের উপর হামলা চালায়। এসময় অভিষেক দে দ্বীপ নিহত হয় এবং সৈকত আহত হয়। সৈকতকে আহত অবস্থায় আটক করা হয়েছে। সে বর্তমানে পুলিশী প্রহরায় ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসাধীন থাকায় এখনই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা যাচ্ছে না।
তিনি বলেন, দ্বীপের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে রিপোর্ট ও পরিবার থেকে এজাহার পেলে পরবর্তি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়াও ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্যদের আটকে পুলিশ চেষ্টা করছে।