‘আবরার হত্যার সঙ্গে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার সম্পর্ক নেই’
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:৪১:৫১,অপরাহ্ন ১৯ জানুয়ারি ২০২০ | সংবাদটি ৫০৬ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: নাইমুল আবরার হত্যার সঙ্গে কোনোভাবেই গণমাধ্যমের স্বাধীনতার সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
এ হত্যা মামলার ব্যাপারে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের জন্য মামলা হয়নি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ফৌজদারি অপরাধের কারণে মামলা হয়েছে বলে গণমাধ্যমের কোনো সম্পর্ক নেই।
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রীর নিজ দপ্তরে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ফৌজদারি অপরাধের কারণে মামলা হয়েছে বলে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। স্বাধীন আদালত কোথায়, কীভাবে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করবেন সেটা আদালতের এখতিয়ারের বিষয়। এটির সঙ্গে কোনোভাবেই গণমাধ্যমের স্বাধীনতার সম্পর্ক নেই।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, নাইমুল আবরার হত্যার মতো এ ধরনের ঘটনাগুলোর বিচার যদি হয়, তাহলে এসব অপরাধ কমে যাবে।
প্রথম আলোর সম্পাদকসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রেক্ষিতে বুদ্ধিজীবীদের দেওয়া বিবৃতির বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে বলেই যে কেউ বিবৃতি দিতে পারে। আমি দেখেছি কাগজে ৪৭ বিশিষ্টজন এ ব্যাপারে বিবৃতি দিয়েছে। তবে বাংলাদেশে এ ৪৭ জন ছাড়াও হাজার হাজার বিশিষ্টজন ও বুদ্ধিজীবী আছেন। তারা তাদের বিবৃতি দিতেই পারে।
উল্লেখ্য, গত ১৬ জানুয়ারি ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী নাইমুল আবরার রাহাতের (১৫) মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় দৈনিক প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, সহযোগী সম্পাদক আনিসুল হকসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
এ মামলায় আরও যাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয় তারা হলেন- কবির বকুল, শুভাশিষ প্রামাণিক শুভ, মহিতুল আলম পাভেল, শাহ পরাণ তুষার, জসিম উদ্দিন অপু, মোশারফ হোসেন, সুজন ও কামরুল হায়দার।
মামলার বিবরণে জানাযায়, গত (২০১৯) বছরের ০১ নভেম্বর প্রথম আলোর কিশোর ম্যাগাজিন ‘কিশোর আলো’র বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান দেখতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায় ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের শিক্ষার্থী নাঈমুল আবরার (১৫)। সে নবম শ্রেণির (দিবা) ‘গ’ শাখার ছাত্র ছিল। ঘটনার পরদিন প্রথমে মোহাম্মদপুর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেন আবরারের বাবা মজিবুর রহমান।