ঢাকার দু’টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রীদের ‘ওড়না’ নিষিদ্ধ!
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:১০:০৫,অপরাহ্ন ১৪ জানুয়ারি ২০২০ | সংবাদটি ৫৬৩৫ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: রাজধানীর নামকরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল ও বনশ্রী আইডিয়ালে মেয়েদের ওড়না পরা নিষিদ্ধ ছে গভর্নিং বডি। এমন নিষেধাজ্ঞায় জনমনে আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, গভর্নিং বডির সদস্য ও শিক্ষকদের এমন সিদ্ধান্তে শুধু ইসলামের অবমাননাই হচ্ছে না স্কুল দুটিও হারাচ্ছে তাদের ঐতিহ্য। প্রথমে এমন খবরটি জানা যায় এক অভিভাবকের দেয়া ফেসবুক স্ট্যাটাসে।
স্কুলে ছাত্রীদের ওড়না নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত হলে তিনি এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে ফেসবুকে লেখালেখি শুরু করেন। এছাড়া তার লেখনিতে ফুটে উঠছে গভর্নিং বডির সদস্যদের দুর্নীতির বিভিন্ন দিক।আগে এই স্কুলের পোশাক ছিল মেয়েদের ফ্রকের মতো গোল ঘেরা জামা, সেলোয়ার, হিজাব অথবা ওড়না। আর ছেলেদের পোশাক ছিল শার্ট প্যান্টের সাথে সাদা টুপি। দীর্ঘদিন ধরে এই ড্রেসের ঐতিহ্য বহন করে আসছিল ছাত্র-ছাত্রীরা। তবে কিছু শিক্ষকের চক্রান্তে সবই এবার হারিয়ে যাচ্ছে।
পাঠকদের জন্য সেই অভিভাবকের ফেসবুক স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হল-
‘সিদ্ধান্ত হয়েছে ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ছেলেদের টুপি পরার আর প্রয়োজন নেই। আর মেয়েদের ফাঁড়া কামিজ আর সাদা ক্রস বেল্ট পরতে হবে, কিন্তু কোন মেয়েই ওড়না পরতে পারবে না। কিন্তু নোটিশে লেখা ছিল ওড়না পরা কিংবা না পরা ছাত্রীর ওপরেই নির্ভর করবে, কিন্তু এখন ওড়না পরে গেলে কোন মেয়েকেই স্কুলে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না।
বাংলাদেশের মতো একটি মুসলিম প্রধান দেশে এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে প্রতিবাদ। সারা কাজল নামের একজন তার ফেসবুক টাইম লাইনে লিখেন, দীর্ঘ দিনের ঐতিহ্য হারালো মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল এবং কলেজ, চমৎকার হিজাব ওড়না পরে মেয়েরা স্কুলে এবং কলেজে যেত।যা মুসলিম মেয়েদের অলঙ্কার ছিল। হায় আফসোস, এখন তা বাতিল করা হয়েছে।জানা গেছে, ৭ জানুয়ারিতেও মেয়েরা ওড়না পরে মাঠে প্যারেড করেছে। শিক্ষকরা সেই ছবি তুলে সামাজিক মাধ্যমে শেয়ারও করেছেন। এখানেই শেষ নয় মেয়েদেরকে নতুন আইডি কার্ডের জন্য ওড়না ছাড়া ছবিও জমা দিতে বরা হয়েছে।
এই বিষয়টি অভিভাবকদের মাঝে খুব করে প্রভাব ফেলেছে, সেটি হচ্ছে একজন ছেলে টুপি না পরে স্কুলে গেলে খুব একটা সমস্যা নেই, কিন্তু কোন বাবা-মা চাইবে তাদের মেয়েকে ওড়না ছাড়া স্কুলে পাঠাতে? একটা মুসলিম দেশে এমন সিদ্ধান্ত কিভাবে হতে পারে তা কারোরই মাথায় আসছে না। কেউ কেউ আবার প্রশ্ন করছেন, একজন ছাত্রীর কী সম্ভব ওড়না ছাড়া পুরুষ শিক্ষকের সামনে যাওয়া?