ট্রাম্পের ‘মাথা’র বিনময়ে ৮০ মিলিয়ন ডলার!
প্রকাশিত হয়েছে : ১:৩৯:৫৩,অপরাহ্ন ০৬ জানুয়ারি ২০২০ | সংবাদটি ৭৩৪ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: বাগদাদে বিমান হামলায় জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হারানোর প্রতিবাদে এবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মাথার জন্য ৮০ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা দিয়েছে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান। দেশটির ৮০ মিলিয়ন জনগণের প্রত্যেকে এক ডলার করে দান করে এ ৮০ মিলিয়ন ডলার দেবেন।
এর আগে মার্কিন অভিযানে সোলাইমানিকে হত্যার জেরে ওয়াশিংটনকে পাল্টা আঘাতের হুঁশিয়ারিও দিয়েছিল তেহরান।
রবিবার (৫ জানুয়ারি) সোলাইমানির মরদেহ দেশে ফেরার পর মাশহাদ শহরের রাজপথে নেমে আসেন হাজারো জনতা। এ সময় বিক্ষুব্ধ ইরানিরা ‘আমেরিকা নিপাত যাক’ ছাড়াই মার্কিনবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। সোলাইমানির শ্রদ্ধা অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া জনসমুদ্রের সামনে দেশটির শীর্ষ নেতারা তখন ঘোষণাটি দেন।
তারা বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মাথা এনে দিতে পারলে পুরস্কার হিসেবে ৮০ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হবে। দেশটির একাধিক টেলিভিশন চ্যানেল বিষয়টি সম্প্রচার করেছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
সোলাইমানির জানাজা ও শ্রদ্ধা অনুষ্ঠানে আগত এক শীর্ষ নেতা বলেন, ইরানে প্রায় ৮০ মিলিয়ন জনসংখ্যা রয়েছে। প্রত্যেকে যদি এক ডলার করে দেয় তাহলে ৮০ মিলিয়ন হবে। আর যে ব্যক্তি ট্রাম্পের মাথা এনে দিতে পারবে তাকে সেই অর্থ পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হবে।
এ দিকে সোলাইমানিকে হত্যার প্রতিবাদে চার দিনের রাষ্ট্রীয় শোক চলছে ইরানে। জনপ্রিয় এই সেনা কর্মকর্তার মরদেহ শিয়া মুসলমানদের ৫টি পবিত্র স্থানে নেওয়া হবে। যার মধ্যে এই মাশহাদ শহর অন্যতম।
অপর দিকে বিশ্লেষকদের মতে, ইরানের আঞ্চলিক শক্তি বৃদ্ধির প্রধান কারিগর হিসেবে পরিচিত এই কাসেম সোলাইমানি। বিগত বছরগুলোতে তিনি ইরানের পররাষ্ট্র নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রেও ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। গত ১৫ বছর যাবত তিনি একজন গুরুত্বপূর্ণ সামরিক কৌশলী হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের উপস্থিতি সুসংহত করেছেন।
এর আগে শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) ভোরে বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মার্কিন বিমান হামলায় জেনারেল কাসেম সোলাইমানি নিহত হন। যুক্তরাষ্ট্রের সেই অভিযানে ইরান সমর্থিত পপুলার মবিলাইজেশন ফোর্সেসের (পিএমএফ) উপপ্রধান আবু মাহদি আল-মুহান্দিসসহ বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্য প্রাণ হারান।