ভারতজুড়ে চলমান বিক্ষোভ নিয়ে মুখ খুলেছেন মোদি!
প্রকাশিত হয়েছে : ৬:২৯:০১,অপরাহ্ন ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯ | সংবাদটি ৩৩০ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: ভারতের বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস হওয়ার ভারতজুড়ে চলছে তীব্র প্রতিবাদ। এ নিয়ে তোপের মুখে রয়েছে বিজেপি সরকার।
চলমান বিক্ষোভের বিষয়ে নিশ্চুপ ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অবশেষে নিরবতা ভেঙ্গে মুখ খুলেছেন তিনি। সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
বিবিসি জানিয়েছে, সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) নতুন নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বিক্ষোভের আগুন বাড়তে থাকায় মোদি এক টুইট করেছেন।
এতে তিনি লিখেছেন, ‘সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে সহিংস প্রতিবাদ-বিক্ষোভ দুর্ভাগ্যজনক। শান্তি, একতা ও ভ্রাতৃত্ব বজায় রাখার সময় এখন।’
টুইটে তিনি সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে কোনও ভারতীয়ের সঙ্গে অবিচার করা হবে না বলেও আশ্বস্ত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘এ আইন নিয়ে কোনো ভারতীয়র চিন্তার কারণ নেই। কয়েকবছর ধরে নিপীড়নের শিকার হওয়া বিদেশি যাদের, ভারত ছাড়া অন্য কোথাও যাওয়ার উপায় নেই্, এ আইন শুধু তাদের জন্য।’
মোদি আরো বলেন, ‘একজোট হয়ে দেশের উন্নতিতে কাজ করা, প্রত্যেক ভারতীয় বিশেষ করে দরিদ্র, নিপীড়িত এবং প্রান্তিক মানুষের ক্ষমতায়নে জোর দেওয়াই এ মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। কিছু গোষ্ঠী নিজেদের স্বার্থ হাসিলে বিভাজন তৈরি করে পরিস্থিতি অশান্ত করার চেষ্টা করছে। তাদের সুযোগ দেওয়া উচিত হবে না। ঐক্য, ভ্রাতৃত্ব ও বজায় রাখতে হবে।’
প্রসঙ্গত, ভারতের লোকসভা ও রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব সংশোধন বিল পাসের পর গত ১২ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের পরে তা আইনে পরিণত হয়েছে। এরপর থেকেই বিক্ষোভ-সহিংসতা বেড়েছে ভারতজুড়ে।
নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে দিল্লি, মুম্বাই, আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা, হায়দরাবাদ, পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের বিভিন্ন স্থানে চলছে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ।
সোমবার দিল্লিতে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে শতাধিক আহত হয়েছেন। বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ-সংঘর্ষে নিহত হয়েছের ছয়জন।
সংশোধিত আইন অনুযায়ী, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর বা তার আগে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ভারতে গিয়ে বাস করা অ-মুসলিম শরণার্থীরা ভারতের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন জানাতে পারবেন।
‘অবৈধভাবে’ বসবাসের জন্য তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি তদন্ত হবে না। হিন্দু, খ্রিস্টান, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ ও পার্সি সম্প্রদায়ের শরণার্থীরা এ সুবিধা পাবে। তবে মুসলিম শরণার্থীরা সে সুযোগ পাবে না।
কিন্তু এ আইন মুসলিম-বিরোধী এবং সাম্প্রদায়িক বলে তীব্র সমালোচনা হচ্ছে মোদি সরকারের। অন্যদিকে ভারতের সীমান্ত এলাকার রাজ্যগুলোর বাসিন্দাদের আশঙ্কা এ আইনের কারণে তাদের অঞ্চলগুলোতে শরণার্থীর ঢল নামবে।
ফলে নতুন এ আইনের প্রতিবাদে পাঁচদিন ধরে বিক্ষোভ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে সমগ্র ভারতে