লন্ডনে নির্বাচনী ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে জনতার বিক্ষোভ
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:৪৬:৩৪,অপরাহ্ন ১৪ ডিসেম্বর ২০১৯ | সংবাদটি ২৮২ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে বরিস জনসনের বিরুদ্ধে কয়েকশ মানুষ লন্ডনের কেন্দ্রস্থলে বিক্ষোভ করেছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় রাতে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভকারীরা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ডাউনিং স্ট্রিটের বাইরে থেকে মিছিল নিয়ে ট্রাফালগার স্কয়ার ও থিয়েটার ডিস্ট্রক্টের সড়কের দিকে যান। ওই সময়ে লন্ডনের বিভিন্ন সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। প্রতিবাদকারীদের চারপাশে ব্যাপক পরিমাণ পুলিশের উপস্থিতিও লক্ষ্য করা গেছে।
বিক্ষোভকারীরা ‘বরিস জনসন: নট মাই প্রাইম মিনিস্টার’ এবং ‘বরিস, বরিস, বরিস : আউট, আউট, আউট’ স্লোগানে আশপাশ প্রকম্পিত করে তোলেন।
তাদের হাতে ‘টোরি শাসন প্রত্যাখ্যান করুন’, ‘অভিবাসীরা স্বাগত’ লেখা সংবলিত বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড ছিল।
ব্রেক্সিট ইস্যুর মধ্যে ব্রিটেনের গুরুত্বপূর্ণ সাধারণ নির্বাচনে বিপুল জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ। ৬৫০টি আসনের মধ্যে ৬৪৯ আসনের ফলাফল এসেছে। এর মধ্যে কনসারভেটিভ পেয়েছে ৩৬৪ আসন এবং লেবার পার্টি পেয়েছে ২০৩ আসন। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ছিল ৩২৬টি আসনে জয়।
দ্বিতীয় বিশ্বজুদ্ধের পর সবচেয়ে খারাপ ফল করেছে লেবার পার্টি। গত বারের চেয়ে এবার তারা ৪২ আসন কম পেয়েছে। তবে লেবার পার্টিতে উল্লেখযোগ্য জয় পেয়েছেন নারী প্রার্থীরা। ২০৩ আসনের জয়ী লেবার পার্টির প্রার্থীদের মধ্যে ১০৪ জনই নারী।
এদিকে নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার পরে বিজয়ী বক্তৃতায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, আর কোনো যদি, কিন্তু, হয়তো নেই; ৩১ জানুয়ারির মধ্যেই যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিচ্ছেদে জনগণ চূড়ান্ত রায় দিয়েছে।
লন্ডনের বাইরে গ্লাসগোতেও ‘জনসন, আমার প্রধানমন্ত্রী নন’ স্লোগানে বিক্ষোভ হয়েছে বলে জানিয়েছে হাফিংটন পোস্ট।
নির্বাচনে হারের পর আগামী নির্বাচনে লেবার পার্টির নেতৃত্ব না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে জেরেমি করবিন। তিনি জানিয়েছেন, আগামী নির্বাচনে তিনি দলের নেতৃত্ব দেবেন না। তবে তিনি এখন পদত্যাগ করছেন না। আরো কিছু সময় দলের নেতৃত্বে থাকবেন আলোচনা চালিয়ে যাবার জন্য।
তিনি বলেন, লেবার পার্টির জন্য এটি হতাশার রাত। তিনি তার ভোটার, পরিবার এবং বন্ধুদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন সহযোগিতার জন্য। করবিন অবশ্য তার আসনে জয়লাভ করেছেন।