বাসচাপায় রাজীব-দিয়া নিহতের ঘটনায় ৩ জনের যাবজ্জীবন
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:৫১:৫০,অপরাহ্ন ০১ ডিসেম্বর ২০১৯ | সংবাদটি ৩৫৭ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম রাজীব এবং একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম মিম নিহতের ঘটনায় জাবালে নূর পরিবহনের দুই চালকসহ তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া রায়ে জাবালে নূর পরিবহনের মালিক জাহাঙ্গীর আলম ও বাসের সহকারী এনায়েত হোসেনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (১ ডিসেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ইমরুল কায়েশ এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জাবালে নূর পরিবহনের দুই চালক মাসুম বিল্লাহ ও জুবায়ের সুমন এবং এক বাসের সহকারী কাজী আসাদ। কাজী আসাদ পলাতক থাকলেও দুই চালক কারাগারে রয়েছেন।
রায় ঘোষণার আগে কারাগার থেকে জাবালে নূর পরিবহনের মালিক জাহাঙ্গীর আলম, দুই চালক মাসুম বিল্লাহ ও জুবায়ের সুমন এবং তাদের সহকারী এনায়েত হোসেনকে আদালতে হাজির করা হয়।
গত বছরের ২৯ জুলাই দুপুরে কালশী ফ্লাইওভার থেকে নামার মুখে এমইএস বাসস্ট্যান্ডে ১৫/২০ জন শিক্ষার্থী দাঁড়িয়ে ছিলেন। জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস ফ্লাইওভার থেকে নামার সময় মুখেই দাঁড়িয়ে যায়। এ সময় পেছন থেকে আরেকটি দ্রুত গতিসম্পন্ন জাবালে নূর বাস ওভারটেক করে সামনে আসতেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের ওপর ওঠে যায় আগের বাসটি। চাকার নিচে পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় আব্দুল করিম রাজীব ও দিয়া খানম মীম। আহত হয় ১৫-২০ জন শিক্ষার্থী।
এ ঘটনায় ২৯ জুলাই রাতে ক্যান্টনমেন্ট থানায় মিমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম মামলা করেন।
গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের উত্তর ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিমের পরিদর্শক কাজী শরীফুল ইসলাম ঢাকা সিএমএম আদালতে ছয়জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন।
আদালত চার্জশিট আমলে নিয়ে ওই বছরের ২৫ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন। এরপর বিচার প্রক্রিয়ায় ৪১ সাক্ষীর মধ্যে ৩৭ জন তাদের সাক্ষ্য দেন।
গত ৭ অক্টোবর উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের মাধ্যমে বিচারকাজ শেষ হয়। ওইদিনই এ মামলার রায়ের জন্য ১ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।