আবরার হত্যায় হল প্রশাসনের গাফিলতি, ২৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশীট!
প্রকাশিত হয়েছে : ৮:৫৫:১৬,অপরাহ্ন ১৩ নভেম্বর ২০১৯ | সংবাদটি ৪৯০ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়টির হল প্রশাসনের গাফিলতি দেখছে পুলিশ। একটু সচেতন হয়ে র্যাগিংয়ের বিষয়টি মনিটর করলে এই হত্যাকাণ্ড এড়ানো যেত বলে অভিমত পুলিশ কর্মকর্তার।
আবরার হত্যায় আদালতে ২৫ জনকে আসামি করে চার্জশিট দিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম এই মন্তব্য করেন। আবরার হত্যার চার্জশিট বিষয়ে জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
বুয়েটের হল প্রশাসনের গাফিলতি পেয়েছেন কি-না সাংবাদিকরা এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মনিরুল বলেন, ‘হল প্রশাসনের আরও একটু সচেতন বা সতর্ক হয়ে এসব বিষয় তাদের মনিটর করার কথা। তদন্তের পার্ট হিসেবে আমরা সেভাবে এটা আনিনি। তবে সমস্ত ঘটনা বিশ্লেষণে হল অথরিটি বলতে যারা ছিলেন তাদের এক ধরনের ব্যর্থতা এখানে আমরা দেখেছি।’
১১ জন মারপিটে অংশগ্রহণ করেছে জানিয়ে মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘এই ঘটনার মোটিভ হিসেবে এখানে একক কোনো কারণকে দায়ী করা যাচ্ছে না। কারণ এখানে একক কোনো কারণ পাওয়া যায়নি। আমরা জানতে পেরেছি ১০টার পর থেকে আবরারের ওপর নির্যাতন শুরু হয়। রাত দেড়টার দিকে ডাক্তার তাকে দেখে মৃত ঘোষণা করে। এই দীর্ঘ সময় তাকে যখন পেটানো হচ্ছিল তখন যদি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হতো তাহলে এই পরিণতি হতো না। তারা যে র্যাগিংয়ের নামে উচ্ছৃখল হয়ে গিয়েছিল আর সেটার জন্যই এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।’
এদিকে, বুধবার আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। এতে মোট ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এরমধ্যে ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে আবরারের বাবা মামলা করেছিলেন। আর তদন্তে আরও ছয়জনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।
এজাহারভুক্ত ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, বাকি তিনজন পলাতক রয়েছে। আর এজাহারের বাইরে তদন্তে যে ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে তার মধ্যে একজন পলাতক আছে।
গত ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হলের একটি কক্ষে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের নির্যাতনে মারা যান বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ। তিনি শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন।