আয়ারল্যান্ড আ’লীগের কমিটি নিয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে অসন্তোষ
প্রকাশিত হয়েছে : ১:১৫:০৭,অপরাহ্ন ১০ নভেম্বর ২০১৯ | সংবাদটি ৮০৯ বার পঠিত
আয়ারল্যান্ড থেকে সংবাদদাতা :: আয়ারল্যান্ড আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক কমিটি নিয়ে কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। জানা যায়, কিছু দিন আগে আয়ারল্যান্ড আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন ইউরোপিয়ান আওয়ামীলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম।পূর্ণাঙ্গ কমিটি ২০১৯ এর স্পেটেম্বরের ২০ তারিখে তৈরী করলেও তা ঘোষণা করা হয় অক্টোবরের ২৯ তারিখে।কিন্তু এর আগে ৮-ই সেপ্টেম্বর আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক ঘোষণা করা হয়।
আওয়ামীলীগের কর্মীদের সাথে আলাপ আলোচনা করে জানা যায় জনাব নজরুল ইসলাম ২৯ সদস্য বিশিষ্ট ঢাউস আকারের আহ্বায়ক কমিটি করেছেন কিন্তু তিনি সেখানে প্রায় ১২ থেকে ১৫ জনের মতো যাদের আওয়ামীলীগের কোনো মিছিল মিটিংয়ে দেখা যায় না, আওয়ামীলীগের কর্মী নন , আয়ারল্যান্ডের বাইরে অবস্থান করা , বিএনপি , জামায়াতের সক্রিয় কর্মী সহ প্রত্যেককেই জায়গা দিয়েছেন। কর্মীরা বলেন এই সংক্রান্ত সকল তথ্য প্রমান তাদের হাতে রয়েছে। কর্মীরা এই ক্ষোভ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ সকল জায়গাতেই প্রকাশ করছে।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে এক কর্মী জানান , এখানে বেশ ভালো টাকার একটি লেনদেন হয়েছে যার কারণে এই আহ্বায়ক কমিটিতে বিএনপি জামায়াতের লোকজন সহ অনুপ্রবেশকারী বেশি ,তারাই মূলত এই টাকার যোগান দিয়েছে। দল অনেকদিন ক্ষমতায় থাকায় দিশেহারা বিনপি জামায়াতের কর্মীরা টাকা দিয়ে এই পদ পদবী নিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরো জানান, মনে হচ্ছে না এই কমিটিতে আওয়ামীলীগের লোকজন থাকবে। কারণ বিএনপি জামায়াতের কর্মীরা টাকা দিয়ে এভাবে পদ পদবী দখল করে নিলে আওয়ামীলীগের সক্রিয় কর্মীরা সেখানে তাদের সাথে একসাথে রাজনীতি করবে।
আরেক কর্মী জানান , কমিটিতে এক শরণার্থীকে স্থান দেওয়া হয়েছে যিনি বিএনপির সক্রিয় একজন কর্মী। বাংলাদেশ সরকার বিরোধী আন্দোলনে তিনি বিএনপির মনোভাবাপন্ন একটি সংগঠনের ডাকে আয়ারল্যান্ডের মাটিতে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন সংগঠন করেন । এই প্রতিবেদকের কাছে আসা ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় তিনি স্পষ্ট বাংলাদেশ সরকার বিরোধী বক্তব্য রাখছেন।
বছর দেড়েক আগে এই ব্যক্তিকে নানা অভিযোগে আয়ারল্যান্ড ছাত্রলীগ থেকে বহিস্কার করা হয়। বিশেষ করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কাছে নিজেকে ছাত্র বলে জাহির করে আয়ারল্যান্ড ছাত্রলীগের সভাপতির পদ বাগিয়ে নেন। পরে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ তার বিএনপিতে সম্পৃক্ততা ও তিনি ছাত্র; এই মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অপরাধে আয়ারল্যান্ড ছাত্রলীগের পদ থেকে বহিস্কার করে।
কমিটিতে এই এছাড়াও আছেন বিগত ৭/৮ বছর থেকে শুরু করে ৩/৪ বছর আগেও তাদের দলীয় কোনো কর্মসূচীতে দেখা যায়নি এমন লোকজন, আরো আছেন একজন মাঝে মধ্যে আয়ারল্যান্ডে বেড়াতে আসেন, আরো দুই তিন জন আছেন যাদের নাম আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক বা সদস্য সচিব কেউই শোনেনি বা তাদের পরিচয়-ও জানেন না।এই কমিটিতে সকল নাম সভাপতি নজরুল ইসলাম নিজেই দিয়েছেন , এই নিয়ে তিনি আহ্বায়ক বা সদস্য সচিব কাউর সাথেই কোনো আলাপ আলোচনা করেননি বলে জানালেন এক কর্মী।
এরকম পরিস্থিতিতে কর্মীরা জানান তারা এই বিষয়ে খুব শীগ্রই বসবেন এবং এই কমিটির বিষয়ে একটা ফয়সালা করবেন। তারা সব বিকল্পই পর্যালোচনা করছেন।
আহ্বায়ক কমিটির বিষয়ে ইউরোপিয়ান আওয়ামীলীগের সভাপতি নজরুল ইসলামকে কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন ধরেননি।