নতুন সড়ক আইন: প্রথম সাতদিনে মামলা না করার নির্দেশ
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:৪৪:২৪,অপরাহ্ন ০২ নভেম্বর ২০১৯ | সংবাদটি ৪৯৮ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: পহেলা নভেম্বর থেকে কার্যকর হওয়া নতুন সড়ক পরিবহন আইনের পক্ষে বিপক্ষে চলছে নানা আলোচনা। ইতিমধ্যে পরিবহন মালিকরা বিধিমালার আগে আইন প্রয়োগ না করার দাবি জানিয়েছেন। এই অবস্থায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, নতুন আইনে প্রথম সাতদিনে নতুন কোনো মামলা না করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এখন সারাদেশ সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে।’
শনিবার (২ নভেম্বর) নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় নতুন সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কার্যক্রম পরিদর্শনে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের নজিরবিহীন আন্দোলনের মুখে প্রচলিত আইনকে আরও কঠোর করে গত বছর সড়ক পরিবহন আইন পাস হয়। ১ নভেম্বর থেকে আইনটি কার্যকরের জন্য ২৮ অক্টোবর প্রজ্ঞাপন জারি করে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ।
নতুন আইনটিতে জেল-জরিমানার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে আগের তুলনায় কয়েকগুণ। চালকের লাইসেন্স থেকে শুরু করে, গাড়ির গতিসীমার ওপরও বাড়ানো হয়েছে সাজা ও দণ্ডের পরিমাণ। জরিমানা বেড়েছে পথচারীদের যত্রতত্র রাস্তা পারাপার বন্ধেও।
শুক্রবার থেকে নতুন আইন প্রয়োগ হলেও এর তেমন কোনো প্রভাব চোখে পড়নি সড়ক-মহাসড়কে। অনেকে আইনটি সম্পর্কে অবহিতও নন বলে জানান।
কার্যকর হওয়া নতুন আইন নিয়ে বেশিরভাগর গাড়ি চালকদের আপত্তি থাকালেও সাধারণ মানুষ নতুন আইনকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে এই আইন যারা বাস্তবায়ন করবেন সেই ট্রাফিক বিভাগের প্রস্তুতি এখনো শেষ হয়নি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ১ নভেম্বর থেকে নতুন সড়ক পরিবহন আইন কার্যকর করা হয়েছে। তবে এখন সারাদেশ সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে। প্রথম সাতদিন এই প্রচারণা চলবে। এই সময় কোনো পরিবহনের বিরুদ্ধে নতুন আইনে মামলা না করার জন্য নির্দেশ দিয়েছি।
নতুন আইন পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে দুর্ঘটনা কমে যাওয়াসহ সড়কে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে বলেও আশা প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
এ সময় দলের চলমান শুদ্ধি অভিযান ও কারাবন্দি বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়েও কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
সেতুমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে তৃণমূল পর্যায়ে শুদ্ধি অভিযান চলছে। এরই মধ্যে জেলা ও তৃণমূল পর্যায়ে ভূমিদস্যু, মাদক কারবারি, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সম্মেলনে এসব ভূমিদস্যু, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজরা যাতে স্থান না পায় সেজন্য তৃণমূলের নেতাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এ সময় বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান ড. আহসানুল করিম, হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত আইজি ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, পুলিশ সুপার মো. হারুন-অর-রশিদ উপস্থিত ছিলেন।