আবরার হত্যায় জামিন মিলেনি অমিত সাহার!
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:৫৮:৩৬,অপরাহ্ন ২৪ অক্টোবর ২০১৯ | সংবাদটি ৫৩০ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় প্রতিষ্ঠানটি থেকে সাময়িক বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের বুয়েট শাখার আইন বিষয়ক উপ-সম্পাদক অমিত সাহার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছে সিএমএম আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর হাকিম নিভানা খায়ের জেসী এ আদেশ দেন।
অমিত সাহার পক্ষে আইনজীবী মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু জামিনের আবেদনে বলেন, অমিত সাহা সম্পূর্ণ নির্দোষ। এজাহারে তার নাম নেই, ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল না। সে পূজার ছুটিতে বাড়িতে ছিল। ফেসবুকে কিছু বন্ধুর উস্কানিমূলক লেখার জন্য তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও স্বীকার করেছেন ঘটনাস্থলে অমিত সাহা উপস্থিত ছিল না।
আবরার হত্যায় দায়ে করা মামলাটিতে গ্রেপ্তারের পর দুই দফা রিমান্ডে নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এর মধ্যে গত ১১ অক্টোবর পাঁচ দিন এবং গত ১৭ অক্টোবর তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। রিমান্ড শেষে গত ২০ অক্টোবর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলাটিতে এ পর্যন্ত আটজন শিক্ষার্থী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এরা হলেন, বুয়েট ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মো. অনিক সরকার, উপ-সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক ইফতি মোশাররেফ সকাল, ক্রীড়া সম্পাদক মো. মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন, মো. মনিরুজ্জামান মনির, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর, শিক্ষার্থী মো. মুজাহিদুর রহমান ও এএসএম নাজমুস সাদাত।
বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড শেষে কারাগারে গেছেন, বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহতামিম ফুয়াদ, আইন বিষয়ক উপ-সম্পাদক অমিত সাহা, কর্মী মুনতাসির আল জেমি, গ্রন্থ ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ইসাতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, শিক্ষার্থী সাসছুল আরেফিন রাফাত, আকাশ হোসেন, মো. মাজেদুর রহমান মাজেদ, শামীম বিল্লাহ ও মুয়াজ ওরফে আবু হুরায়রা।
উল্লেখ্য, আবরার বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭তম ব্যাচ) ছাত্র ছিলেন। তিনি থাকতেন বুয়েটের শেরেবাংলা হলের নিচতলার ১০১১ নম্বর কক্ষে। গত ৬ অক্টোবর একই হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে তাঁকে নির্যাতন করে তাকে হত্যা করা হয়। রাত ৩টার দিকে হল থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
হত্যাকাণ্ডের পর তার বাবা বরকত উল্লাহ ১৯ জনকে আসামি করে গত ৭ অক্টোবর সন্ধ্যার পর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এর মধ্যে এজাহারভুক্ত ১৬ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এজাহারের বাইরে আটক করা হয়েছে আরও তিনজনকে।