পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ‘এমপি’ পরিচয়ে ফোন করা প্রতারক আটক!
প্রকাশিত হয়েছে : ১:৫৪:০৮,অপরাহ্ন ০৭ অক্টোবর ২০১৯ | সংবাদটি ৩৭২ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সংসদ সদস্য (এমপি) পরিচয় দিয়ে মোবাইল ফোনে প্রতারণার মাধ্যমে অর্ধ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়া প্রতারককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শনিবার (৫ অক্টোবর) তাকে চট্রগ্রামের নিউমার্কেটে নিজ দোকান সাদ্দাম স্টোর থেকে গ্রেফতার করে রোববার (৬ অক্টোবর) সিলেটে আনা হয়। পরে, তাকে অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে কারাগারে পাঠানো হয়।
গ্রেফতারকৃত প্রতারকের নাম আবু তৈয়ব (২৪)। সে চট্টগ্রামের বোয়ালখালি থানার উত্তর কনুজুরী সারোয়াতুলির বাসিন্দা আব্দুল আলীমের পুত্র।
প্রতারণার ঘটনায় সিলেটের কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়েরের পর তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
পিবিআই সিলেটের পরিদর্শক আওলাদ হোসেন বলেন, গত ২৫ জুলাই রাত ৯টার দিকে একটি নম্বর থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনকে ফোন দিয়ে নিজেকে চট্টগ্রাম-১৬ আসনের সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমানের পরিচয় দেন এক ব্যক্তি। তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানান, তার ভাই দুর্ঘটনায় আহত হয়ে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। একথা বলে চিকিৎসার জন্য সাহায্য চান তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোবাইল ফোনে বিষয়টি সিলেটের সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরানকে জানান ও সাহায্য করতে বলেন। পরে, একটি বিকাশ নম্বর দিয়ে তাতে ৫০ হাজার টাকা দিতে বলেন অভিযুক্ত তৈয়ব। সাবেক মেয়র কামরানকে তিনি বলেন, আমি দেড় লাখ টাকা পাঠাচ্ছি, ওখান থেকে রেখে দিয়েন। কামরান ওই নম্বরে ৫১ হাজার টাকা বিকাশ করেন, সঙ্গে আরও দুই হাজার টাকা ফ্লেক্সিলোড করে পাঠান। এরপর হাসপাতালে খোঁজ নিতে গেলে ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। ঘটনাটি তাৎক্ষণিক পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানান সাবেক মেয়র।
এ ঘটনায় হাসপাতালের এক সেবিকা (নার্স) বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি কিছুদিন তদন্ত করে থানা পুলিশ। পরে, পুলিশ সদর দপ্তর সিলেট পিবিআই’কে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেয়।
পুলিশ পরিদর্শক আওলাদ হোসেন আরও বলেন, তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পর আদালতের অনুমতিতে চট্রগ্রামে অভিযান চালিয়ে তৈয়বকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া, যে নম্বরে বিকাশ করা হয়েছিল, ওই নম্বরধারী এহসানুল হক হাসানকে কিছুদিন আগে মাদক মামলায় গ্রেফতার করেছে চট্রগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশ। তাকেও ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানোর জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে। তাকে রিমান্ডে আনতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরামর্শ করা হবে।
তবে, জিজ্ঞাসাবাদেই তৈয়বের কাছ থেকে পর্যাপ্ত তথ্য পাওয়ায় তাকে আর রিমান্ডে নেওয়ার প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন এ পুলিশ কর্মকর্তা।