মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত হত্যার রায় ২৪ অক্টোবর
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:২৭:১২,অপরাহ্ন ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | সংবাদটি ৩০৮ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: ফেনীর সোনাগাজীতে আলোচিত মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হবে ২৪ অক্টোবর।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুই পক্ষের যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে সোমবার ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ রায়ের জন্য এই দিন ধার্য করেন।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আইনজীবী হাফেজ আহমেদ এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, আদালতে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে মামলার সার্বিক আইনি ব্যাখ্যা দেওয়া হয়। আদালতে আসামিদের অপরাধ প্রমাণ হয়েছে দাবি করে তিনি আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করার মাধ্যমে উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষ হয়।
নুসরাত সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী ছিলেন। ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলার বিরুদ্ধে তিনি যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন।
এ ঘটনায় নুসরাতের মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে ২৭ মার্চ সোনাগাজী থানায় মামলা করেন। এরপর অধ্যক্ষকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে নুসরাতের পরিবারকে হুমকি দেওয়া হয়।
৬ এপ্রিল সকাল নয়টার দিকে আলিম পর্যায়ের আরবি প্রথম পত্রের পরীক্ষা দিতে ওই মাদ্রাসাকেন্দ্রে যান নুসরাত। এ সময় তাকে পাশের বহুতল ভবনের ছাদে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেওয়া হয়।
১০ এপ্রিল রাত সাড়ে নয়টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নুসরাত মারা যান। এই ঘটনায় নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বাদী হয়ে ৮ এপ্রিল সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন। পরে মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (পিবিআই)স্থানান্তর করা হয়।
আদালত সূত্র জানায়, গত ২৯ মে আদালতে ১৬ জনকে অভিযুক্ত করে ৮০৮ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র দাখিল করে পিবিআই। চার্জশিটভুক্ত ১৬ আসামির মধ্যে ১২ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। ৩০ মে মামলাটি ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। ১০ জুন আদালত মামলাটি আমলে নিলে শুনানি শুরু হয়।
২০ জুন অভিযুক্ত ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন বিচারিক আদালত। এরপর ২৭ ও ৩০ জুন মামলার বাদী ও নুসরাতের ভাই মাহমুদুল হাসান নোমানকে জেরার মধ্য দিয়ে এই মামলার বিচার কাজ শুরু হয়। এ মামলায় মোট ৯২ জন সাক্ষীর মধ্যে ৮৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।