টাকা রাখার জায়গা না থাকায় কিনতেন স্বর্ণ!
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:৫৮:২৩,অপরাহ্ন ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | সংবাদটি ৭৪০ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: টাকা রাখার জায়গা না থাকায় সোনা কিনে তা ভল্টে রাখতেন গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রুপন ভূঁইয়া। তারা সম্পর্কে দুই ভাই।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) পুরান ঢাকার ৩১ নম্বর বানিয়ানগরের বাসায় অভিযান চালিয়ে এক কোটি পাঁচ লাখ টাকা ছাড়াও ৭৩০ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার করে র্যাব। তিনটি ভল্ট থেকে এসব টাকা ও স্বর্ণ পায় র্যাব। ক্যাসিনোর টাকায় এসব স্বর্ণ কিনে তারা বাসার রাখতেন।
অভিযান শেষে ব্রিফিং করেন র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাফিউল্লাহ বুলবুল। তিনি বলেন, ‘এনামুল হক ওরফে এনু ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের ক্যাসিনো ব্যবসার অংশীদার ছিলেন এবং রূপন ভূঁইয়া মানিলন্ডারিং এর সঙ্গে জড়িত।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল ক্যাসিনোর অবৈধ টাকা রাখার জন্য তারা পাঁচটি ভল্ট ভাড়া নিয়েছিল। আর ভল্টগুলো এই বাড়িতে রাখা হয়েছে। এমন খবরের ভিত্তিতে সোমবার মধ্যরাত থেকে আমরা এখানে অভিযান পরিচালনা করি। বাড়িটির দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় অভিযান চালিয়ে আমরা তিনটি ভল্ট পেয়েছি।’
র্যাব কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা ম্যাজিস্ট্রেট এনে ভল্টগুলো খুলেছি। তিনটি ভল্টে ১ কোটি ৫ লাখ টাকা পাওয়া যায় আর ৪ কোটি টাকা মূল্যের ৭৩০ ভরি স্বর্ণ পাওয়া যায়।’
‘এনামুল ক্যাসিনোর অবৈধ টাকা ভল্টে রাখত। তবে টাকা ভল্টের ভেতরে বেশি জায়গা নেয় বলে; সে টাকাকে স্বর্ণে কনভার্ট করে ফেলত। এছাড়া এনামুলের রাজধানীতে বিভিন্ন জায়গায় ১৫টি বাড়ি আছে।’
শাফিউল্লাহ বুলবুল আরও বলেন, ‘অভিযানে আমরা পাঁচটি অস্ত্র উদ্ধার করেছি। এসব অস্ত্র দিয়ে দুই ভাই স্থানীয় বাসিন্দাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে নানা অপরাধ করত। অভিযান পরিচালনার আগে রূপন পালিয়ে যায়। আর অভিযানে এখানের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পেরেছি এনামুল ১৫ দিন আগে থাইল্যান্ডে পালিয়ে গেছে। পাঁচটি ভল্টের মধ্যে তিনটির সন্ধান এখানে পেয়েছি। আর একটির সন্ধান নারিন্দার একটি বাড়িতে পেয়েছি। আমাদের টিম এখন সেখানে যাচ্ছে।