মামলার বাদীর ‘পা’ ভেঙে দিলেন আসামী শ্রমিকগ নেতা!
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:১৪:৪৮,অপরাহ্ন ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | সংবাদটি ২৯১ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা এক মামলার বাদীর পা ভেঙে দিয়েছেন আসামি এক শ্রমিকলীগ নেতা। তার নাম শাকিল মৃধা। তিনি পটুয়াখালী জেলার মহিপুর থানা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক। সম্প্রতি জামিনে বেরিয়ে এসে শাকিল সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে পিটিয়ে বাদীর পা ভেঙে দিয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
মহিপুর থানার ওসি মো. সোহেল আহম্মদ বলেন, ‘থানা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শাকিল মৃধার নেতৃত্বে মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাত নয়টার দিকে বাদীর ওপর এই নির্যাতন চালানো হয় বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে।’
আহত সিদ্দিকুর রহমান ধুলশ^র ইউনিয়নের পশ্চিম চাপলি এলাকার বাসিন্দা। গত ১৫ এপ্রিল এক নারীকে রাতভর দলবেঁধে ধর্ষণের এক মামলার বাদী তিনি। তাকে মূমূর্ষ অবস্থায় ছিদ্দিককে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত ছিদ্দিক ও তার স্বজনরা জানান, মঙ্গলবার রাতে কলাপাড়া উপজেলার চাপলি বাজারের ধুলাশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে তার স্ত্রীকে দলবেঁধে গণধর্ষনের ঘটনায় জড়িত মামলার আসামী শাকিল মৃধা, শাহ আলম, মামুন, রবিউলসহ কয়েক যুবক রড ও ইট দিয়ে পিটিয়ে সিদ্দিকের হাত-পা গুড়িয়ে দেয়।
রুবেল নামে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী মোটর সাইকেল ভাড়া করে ছিদ্দিককে বাড়ী পৌঁছে দেয়। পরে ছিদ্দিকের পরিবার তাকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে হামলাকারীরা সেখানে চিকিৎসা নিতেও বাধা দেয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান জানান, ধর্ষন মামলার আসামীরা জামিনে জেল থেকে বেরিয়ে ঘটনাটি ঘটিয়েছে। আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় এজাহার ভুক্ত আসামী খায়েরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া হামলাকারী অন্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।’
চলতি বছরের গত ১৫ এপ্রিল রাতে জেলার কলাপাড়া উপজেলার ধুলাশ্বর ইউনিয়নের নতুনপাড়ায় স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষন করা হয়। পরের দিন গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে মনু মাঝির ছেলে শাহ আলম, মনির হাওলাদারের ছেলে শাহিন, রবিউল, আল-আমিন, আব্দুর রশিদ, শমিকলীগ নেতা শাকিলকে আসামি করে পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে অভিযাগে দায়ের করেন।
পুলিশ ওই মামলায় শাকিলকে আটক করলেও সম্প্রতি তিনি জামিনে বেরিয়ে এসে মামলা তুলে নিতে চাপ দেন বলে বাদীপক্ষের অভিযোগ।