রিফাত হত্যায় মিন্নির সাথে মূল পরিকল্পনাকারী এমপি পুত্র!
প্রকাশিত হয়েছে : ৩:৪২:৫৬,অপরাহ্ন ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | সংবাদটি ১১৬০ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: বরগুনায় চাঞ্চল্যকর রিফাত শরীফ হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর ছেলে সুনাম দেবনাথ এবং রিফাত শরীফের স্ত্রী মিন্নি বলে অভিযোগ করেছেন এ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি রিফাত ফরাজী ও তার ভাই রিশান ফরাজী।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) বরগুনার আদালতে তাদের হাজিরা শেষে প্রিজনভ্যানে ওঠানোর সময় এসব কথা বলে চিৎকার করতে থাকেন রিফাত ও রিশান ফরাজী। এর পর পুলিশ দ্রুত তাদের প্রিজনভ্যানে তুলে বরগুনা কারাগারে নিয়ে যায়।
‘এটা অন্যায়, এটা অবিচার। যে (রিফাত শরীফ হত্যার পরিকল্পনা) করছে সে কেন ৭ নম্বর, সুনাম দেবনাথ কেন আসামি নাই, সুনাম দেবনাথ হত্যার নির্দেশদাতা, সে কেন আসামি নাই, বাদশা হত্যার কেন বিচার নাই? এটা অবিচার, এটা অন্যায়।’
তবে বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের নেতা সুনাম বলছেন, তার দুর্নাম রটাতে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ইন্ধনে এই হত্যাকাণ্ডে তার নাম জড়ানো হচ্ছে।
গত ২৬ জুন রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডের পর থেকে আলোচনায় রয়েছেন আওয়ামী লীগের স্থানীয় সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর ছেলে সুনাম। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক।
মামলার ধার্য দিনে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রিফাত হত্যা মামলায় গ্রেফতার ১৪ আসামিকে বরগুনার জ্যেষ্ঠ বিচার বিভাগীয় হাকিম মো. সিরাজুল ইসলাম গাজীর আদালতে হাজির করা হয়। বিচারক আসামিদের মধ্যে অপ্রাপ্তবয়স্ক ছয়জনকে যশোর শিশু-কিশোর সংশোধন কেন্দ্রে এবং বাকিদের বরগুনা কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে।
সকাল ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে আদালত চত্বরে রাখা প্রিজনভ্যানে ওঠার সময় মামলার ১ নম্বর আসামি রিফাত ফরাজী ও তার ভাই রিশান ফরাজীসহ অন্য আসামিরা চিৎকার করে রিফাত হত্যাকাণ্ডের নির্দেশদাতা হিসেবে সুনাম দেবনাথের নাম বলে। এ ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
প্রায় ২ মিনিটের এই ভিডিওতে দেখা যায়, প্রিজনভ্যানে তোলার পরও আসামিরা চিৎকার করে সুনামের কথা বলে যাচ্ছিল।
প্রসঙ্গত বরগুনা সরকারি কলেজের মূল ফটকের সামনের রাস্তায় ২৬ জুন সকাল ১০টার দিকে স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির সামনে কুপিয়ে জখম করা হয় রিফাত শরীফকে। বিকাল ৪টায় বরিশালের শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
এ হত্যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশব্যাপী তোলপাড় শুরু হয়। হত্যাকাণ্ডের পরের দিন রিফাত শরীফের বাবা আবদুল হালিম শরীফ বরগুনা থানায় ১২ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এ ছাড়া সন্দেহভাজন অজ্ঞাতনামা আরও চার-পাঁচজনকে আসামি করা হয়। এ মামলার প্রধান আসামি নয়ন বন্ড ২ জুলাই পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। মামলার এজাহারভুক্ত ছয় আসামিসহ এ পর্যন্ত ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৪ জনই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।